রামগঞ্জপ্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বিঘা গ্রামে প্রতিপক্ষরা বিধবা হালিমা বেগমের পরিবারকে প্রায় ৯০ অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। পরিবারের সদস্যরা বসতঘর থেকে বের হতে না পারায় একদিকে বিধবার সন্তান উপাজর্ন করতে পারে না, অপরদিকে কলেজ পড়ুয়া নাতনী এবং স্কুল পড়ুয়া নাতীর পড়া-লেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে। সৃষ্ট ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার বিঘা গ্রামের সৈয়দ শাহমিনার দর্গার বাড়ির সহেল, বাদল, সওকত, বুলবুল গংদের সাথে একই বাড়ির বিধাব হালিমা বেগমের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সহেল-চৌধুরী গংরা ৩ মাস পুর্বে বিধবার বসতঘরের দরজার সামনে বেড়া নির্মান করে। এতে বিধাব পরিবার গৃহবন্ধি হয়ে পড়ে। বসতঘরের সামনে বেড়া নির্মান করে প্রতিপক্ষরা পালাক্রমে পাহারা দেওয়ায় বিধবার কলেজ পড়ুয়া নাতনী তানজিলা আক্তার ও ৫ম শ্রেনীতের পড়ুয়া নাতী হাসিবুর রহমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বিধবার পুত্রবধু নাজমা বেগম বলেন, বাড়ির কয়েকজন বখাটের কু-প্রস্তাবে বাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বসতঘরের সামনে বেডা নির্মান ও গাছের চারা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয় লিখিত অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
অভিযুক্ত বাড়ির মাতব্বর সহেল,বাদল,চৌধুরী,বুলবুল বলেন,বিধবার পুত্রবধু নাজমা বেগম অসামাজিক কাজে জড়িত হয়ে স্বামী-সন্তানকে বাড়িতে রেখে দীর্ঘ কয়েক মাস অন্যত্বে অনৈতিক ভাবে ঘর সংসার করে। এতে বাড়ির মান সম্মান রক্ষার্থে বারবার বৈঠক ডাক দিলেও ওই মহিলা বৈঠক প্রত্যাখান করে। কিন্তু ওই স্বামীর ঘর থেকে পুনরায় আগের স্বামীর সংসারে উপস্থিত হওয়ায় দর্ঘা বাড়ির ঐতিহ্য রক্ষার্থে বেড়া দিয়ে সমাজচুত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
0Share