লক্ষ্মীপুর: হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতিসহ গত ৯ মাসে দেড় হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে লক্ষ্মীপুর আদালত। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় ২১ আসামির ফাঁসি, ৩৪ জনের যাবজ্জীবন ও বেশ কিছু আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বিচারাধীন মামলার রায়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় খুশি মামলার বাদী-আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা। লক্ষ্মীপুর জজ ও দায়রা জজ আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ আদালতে মামলাজট ছিলো। গত ৯ মাস আগে ড. আবুল কাশেম লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যোগদান করেন। এরপর থেকে বিচারকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য রায়গুলোর মধ্যে- গত ১১ এপ্রিল প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২৯ মার্চ গৃহবধূকে গণধর্ষণের দায়ে ৪ জনের ফাঁসি, ১৩ মার্চ স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জানুয়ারি স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও বোনের যাবজ্জীবন। এছাড়া গত বছরের ১৬ নভেম্বর শিশু হত্যার দায়ে নারীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন, ১৫ নভেম্বর কৃষক হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন, ২৮ সেপ্টেম্বর কৃষক হত্যা মামলায় ১৬ জনের যাবজ্জীবন, ২৮ সেপ্টেম্বর ভাবি হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি ও ৩০ আগস্ট যুবদল নেতা মাওলানা বাবর মিয়াকে হত্যার দায়ে ১১ জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে এ আদালতে আরও ৪ হাজার ৪৪৮ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিচার প্রার্থীরা আশা করেছেন, বিচারাধীন মামলার রায়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, গত ৯ মাসে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হওয়া বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে।
0Share