নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার ( ১২ ফেব্রুযারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল আঙ্গিনার পশ্চিমে আবর্জনার স্তুপের পাশে এক নবজাতকের মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুরে এমন বিভৎস্য দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান সাধারণ জনতা। বিভৎস্য দৃশ্য হলেও অনেকে নিজের ফোনে ছবি েতুলে তা ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । মুর্হুতে তা পুরো জেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল আঙ্গিনায় ভিড় জমায় শত শত জনতা। এ জঘন্য ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণের ঘৃনা প্রকাশ পায়। শনিবারও তা ছিল টক অব দ্যা ডিষ্ট্রিক্ট।
হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, বৃহস্পতিবার ( ১১ ফেব্রুযারি) রাতে জনৈক লায়লা বেগমের প্রশব ব্যাথা উঠলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সকালে তার একটি মৃত সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানটির বাবা ফজল করিম একটি কার্টুন এনে মৃত নবজাতকটিকে নিতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত সেবিকা রেহানা আক্তার ও আয়া আলেয়া বেগম বাচ্চাটিকে কৌশলে না দিয়ে দাফন করার জন্য ওই দম্পতির কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। পরে ওই দম্পতি হাসপাতাল ত্যাগ করলে কর্তব্যরত আয়া আলেয়া বেগম নবজাতকের মরদেহ দাফন না করে হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বের ময়লার স্তুপের পাশে খোলা মাঠে ফেলে দেন। এরিমধ্যে নবজাতকের লাশ কুকুরে ছিড়ে খেতে দেখে ক্ষুব্ধ হন হাসপাতালের অন্যান্য রুগির অভিভাবকরা। পরে এমন অমানবিক দৃশ্যের কথা গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে নবজাতকের মরদের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করে মর্গে রাখার ব্যবস্থা করেন তারা।
0Share