নিজস্ব প্রতিনিধি:: বিএনপি সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়াউল হক জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ ( ৪ নভেম্বর) সকালে মারা যান জিয়াউল হক জিয়া। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি কোলন ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন।
জিয়াউল হকের ছেলে মুশফিকুল হক জয় তাঁর সঙ্গে ব্যাংককে আছেন। তবে কবে নাগাদ লাশ দেশে আনা যাবে, এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার এ কর্মকর্তা।
জিয়াউল হক ১৯৫৩ সালের ১১ মার্চ রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়নের কেতুড়ি গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন জিয়াউল হক।
খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন ২০০১-২০০৬ সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জিয়া। জরুরি অবস্থার সময় দলে ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জিয়াকে পরের নির্বাচনে আর মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বেশ কিছু মামলা হয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার ৩১ বছরের সাজার রায় এলেও পরে একটি মামলায় তিনি আপিল করে খালাস পান। অন্য মামলাগুলোর কার্যক্রম আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
0Share