সিলেটের জৈন্তাপুরের ফিসারী এলাকা হতে উদ্ধারকৃত শিশুর লাশের পরিচয় সনাক্তে ঘাতক পিতা দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ্মীপুর থেকে আটক করেছে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। আটক দেলোয়ারকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৯ এপ্রিল জৈন্তাপুর ফিসারী হতে শিশু উদ্ধারের পর ২০ এপ্রিল শিশুর মায়ের দায়ের করা মামলায় জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর হতে ঘাতক পিতা আটক করতে সক্ষম হয়। ঘাতক দেলোয়ার লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর থানার শাকচর গ্রামের বাসিন্ধা। সে সিলেটের ফুলকালি শাখায় কারিগর সহকারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন এবং পরিবার নিয়ে ওখানেই থাকতেন।
জানা যায়, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার জৈন্তাপুর উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের আওতাধীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাখিটিখি এলাকায় ফিসারী থেকে পুলিশ একটি শিশুর (ছেলে) মৃত দেহ উদ্ধার করে। শিশুর পরিচয় সনাক্তের জন্য পুলিশ সকলের সহযাগিতা চায়। উদ্ধারকৃত শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পোষ্ট হওয়ার পর বেরিয়ে আসে শিশুর পরিচয়।
নিহত শিশু সিলেট শাহপরান থানাস্থ খাদিমনগর, রুস্তুমপুর নাদিয়া ভিলার বাসিন্ধার সিলেট ফুলকালি লিঃ এর কারিগর সহকারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও বিলকিছ বেগমের ছেলে মোঃ মুরসালিন (১১ মাস)।
এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশুর মা বিলকিছ বেগম জানান, তারা লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর থানার শাকচর গ্রামের বাসিন্ধা। স্বামী সিলেটের ফুলকালি শাখায় কারিগর সহকারি হিসাবে কর্মরত থাকার কারণে বিগত ৭/৮ মাস পূর্ব থেকে সিলেটে বসবাস করে আসছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরিবারিক কলহ নিয়ে ৩ মাস পূর্বে কথা কাটাকাটি হয় এবং বিষয়টি এক পর্যায় মিটমাট হয়।
অপরদিকে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হাঠৎ করে বিলকিছ বেগমের স্বামী ১১ মাস বয়সী মুরসালিনকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। বিষয়টি শিশুর মা বিলকিছ বেগম লক্ষীপুরের পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে জানান। ১৯ এপ্রিল দুপুরে প্রতিবেশির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে শিশুর ছবি দেখতে পেয়ে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নাদিয়া ভিলার বাসিন্ধারা বিলকিছ বেগমের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করেলে পরিবারের সদস্যরা জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগাযোগ করেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) শিশুর মা নিকট আত্মীয় নিয়ে জৈন্তাপুর থানায় হাজির হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুর মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুর মা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।
0Share