লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ছয় প্রার্থীকে কেনো নিয়োগ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানকে রুল জারির দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন।
প্রভাষক পদে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীরা হলেন- মো. আবদুল বাতেন (সমাজকর্ম), মো. মাহবুবের রহমান (ব্যবস্থাপনা), হাবিবুল বাশার (হিসাববিজ্ঞান), ফাতেমা ফারভিন (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), আবদুর রহমান (সমাজবিজ্ঞান) ও জসীম উদ্দিন (ইংরেজি)। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে তারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা ও অর্থনীতি এবং স্নাতক (পাস) শ্রেণির জন্য ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক পদের জন্য ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর অনেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রভাষক পদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারীদের নিয়োগ দানের জন্য নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ দেন করেন।
কলেজ কৃর্তপক্ষ কেবলমাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের শূন্য পদে বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রভাষক পদে দুইজনকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কোনো কারণ ছাড়াই কলেজ কৃর্তপক্ষ স্নাতক (পাস) শ্রেণির জন্য সৃষ্ট পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে চাকরি বঞ্চিত করে।
এজন্য মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আদালতে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ২৫ জুলাই এ রুল জারি করেন আদালত।
0Share