নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে অর্ন্তভুক্ত না করায় লক্ষ্মীপুরের ২০টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। ফলে এ মাদরাসা গুলো টিকে থাকবে কিনা তা নিয়েও চিন্তিত শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা। মাদরাসা গুলোর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১২টি, রামগতি
উপজেলার ৩টি, কমলনগরের ৩টি এবং রায়পুরের ২টি। এ সকল মাদরাসায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা নিচ্ছেন। কিন্তু এ ২০টি মাদরাসায় ৬৭ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ১১টি মাদরাসার মাত্র ৩০ জন শিক্ষক মাসিক ১২শ টাকা হারে বিশেষ অনুদান পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা হতাশার সুরে সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে মাসে ১২শ টাকা দিয়ে একটি পরিবার চালানো মোটেও সম্ভব নয়। জানতে চাইলে কমলনগরের উত্তর পূর্ব চর জাঙ্গালিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক সহিদ উল্লাহ জানান, আমি ৩২ বছর এ মাদরাসায় শিক্ষকতা করে প্রথম অবস্থায় কোন অনুদান না পেলেও ১৮ বছর যাবত মাসিক ৫শ এবং বিগত ২ বছর যাবত ১২শ হারে ভাতা পাাচ্ছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন অথচ আমার সাথে একই আইনকানুন ও সিলেবাস অনুসরণে পাঠদান করে একজন প্রাথমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষক সকল সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি দাবী করে বলেন, আমার আর ২ বছর চাকুরীর মধ্যে ইবতেদায়ী মাদরাসা গুলো কে সরকারী করণ চাই।
এ প্রসঙ্গে ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যে পরিষদের সভাপতি কাজি রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমরা আগামী অক্টোবরের মধ্যেই ইবতেদায়ী মাদরাসায় কর্মরত সকল শিক্ষককে জাতীয় স্কেলের অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি ।
জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে স্বায়ত্তশাসিত মাদ্রাসা বোর্ড গঠন করা হলে এর নাম হয় ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ১৬ হাজারের মতো ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারাসহ মাদরাসাগুলোও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকার কারণে ১১ হাজার ১৫২টি ইবতেদায়ী মাদরাসা বিলুপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৬ হাজার ৮৪৮টি মাদরাসা চালু আছে।
ইবতেদায়ী মাদরাসায় কমরত শিক্ষকরা ৩০ বছর ধরেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের দ্রুত জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান।
0Share