নিজস্ব প্রতিবেদক : চন্দ্রগঞ্জে আ.লীগ নেতা ও সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রকৃত খুনিদের বাঁচাতে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি দৈনিক ও একটি অনলাইন পত্রিকায় ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের তীব্রনিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে চন্দ্রগঞ্জ গণমিলনায়তনে স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিনে এ ক্ষোভ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু বিজন বিহারী ঘোষ। বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিঠন, সদর উপজেলা (পূর্ব) কৃষকলীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সেলিম, ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন কাজল, সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ ৯টি ওয়ার্ডের আ.লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নিজাম উদ্দিন বলেন, ওমর ফারুক আ.লীগেরই একজন নেতা। অথচ তার খুনের ঘটনায় আ.লীগকেই দায়ী করে একটি স্বার্থান্বেসী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় কতিপয় সাংবাদিককে ব্যবহার করে উদ্ভট এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা আজকের এই সভা থেকে এসব ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ওমর ফারুক হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিঠন তার বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৮২ সাল থেকে আ.লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতির কারণে আমাকে অনেকবার মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে। ওমর ফারুকের সাথে আমার কোনো বিরোধ ছিলনা। আমি কেন তার হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকবো? তিনি বলেন, যারা খালি পকেট নিয়ে বাজারে এসে পকেট ভর্তি টাকা আর ব্যাগ ভর্তি সদাই নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরে যায়। তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ইউপি সদস্য ও কৃষকলীগ নেতা জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ওমর ফারুক হত্যার সময় আমি তার আগে থেকে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলাম। কিন্তু দৈনিক রব নামে একটি পত্রিকা আমাকেসহ আ.লীগ নেতাদের জড়িয়ে ভিত্তিহীন এবং ভাসা ভাসা তথ্য সন্নিবেশ করে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে ফারুক হত্যায় জড়িয়ে যারা আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি প্রকাশিত উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের আগে আমি ওমর ফারুককে ডেকে এনেছি একথা পুলিশ প্রমাণ পায়নি। এরপরও পত্রিকাটি লিখেছে আমিই নাকি ওমর ফারুককে বাড়ি থেকে ডেকে এনেছি। আমি প্রকাশিত এই ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
আলোচনা শেষে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
0Share