কমলনগর/রামগতি প্রতিনিধি: রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করার সময় ৩২ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ। আটকৃতদের মধ্যে কমলনগর উপজেলায় ১০ এবং রামগতির ২২ জেলে রয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার মিটার জাল ও বেশ কয়েকটি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শনিবার (৩ অক্টোরব) সকাল ৮ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। কমলনগর উপজেলায় আটক জেলেদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
রামগতির মেঘনা নদীর টাংকির ঘাট ও সুইজ খালসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে আটকরা হলেন মো. সিরাজ (২২), আয়ুব নবী (১৮), এনাম হোসেন (২৭), আবদুল করিম (১৮), মো. রাশেদ (২২), মো. সবুজ (২৩), আবদুর রহিম (২৭), মো. রিপন (২৫), উসমান গণি (১৯), আলাউদ্দিন (২৫), নবীর হোসেন (২১), মো. জুয়েল (১৮), মো. সেলিম (২৫), শাহাদাত হোসেন (২২), মো. হারুন (৩০), রিয়াজ উদ্দিন (২৬), রবি আলম (২৩) মো. শাহিদ (১৮), আকবর হোসেন (১৮), রায়হান (১৯), আবদুল হালিম (১৯) ও ইউছুফ (২২)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন এবং রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হবে। এছাড়া আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় একশ’ কিলোমিটার এলাকায় মাছধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
0Share