রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে ড্যানমার্ক সরকারের (ডানিডা) সহায়তায় প্রায় ৮ বছর আগে স্থানীয় এলজিইডির বাস্তাবায়নে ডাকাতিয়া নদীর উপর পৃথক দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রিজটির দু’পাশে এপ্রোস সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে পৌচেছে। ওই ব্রিজ দু’টি স্থানীয় কৃষকদের ধান অনন্য ফসল শুকানো ছাড়া অন্য কোন কাজে আসছেনা। ব্রিজ দু’টি হল- উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আখন বাজার কাটাখালী ব্রিজ অন্যটি আখন বাজার থেকে মোল্ল্যার হাট সড়কে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে ব্যবস্থা নিতে বললেও কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন।
ব্রিজ দু’টির পাশে স্থানীয় এলজিএসপির সহয়তায় ও উপজেলা এলজিইডির বাস্তবায়নে প্রায় ২৫ মিটার ইটের সলিং স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেকুজ্জামানের দ্বারা হলেও অনিয়মের কারনে সে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এলজিইডি কার্যল্যয় সূত্রে জানাযায়, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ড্যানমার্ক সরকারের সহায়তায় রায়পুর এলজিইডির কার্যালয়ের বাস্তাবায়নে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯৫ মিটার আখন বাজার কাটাখালী ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। একই প্যাকেজে ও একই সময়ে ওই ব্রিজটির পাশে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার আখন বাজার থেকে মোল্লার হাট সড়কটির ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মাণ করা হয়। এ দু’টি ব্রিজের পাশের সড়ক নির্মাণ সহ এই ঠিকাদারী কাজটি করেছেন ঢাকার ইশা ইন্টারন্যাশনাল এবং লক্ষীপুরের সুরভী এন্টারপ্রাইজের মালিক বাহা উদ্দিন। আখন বাজার ব্রিজটি স্থানীয় লোকদের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৮ মিটারের ইটের সলিং এর কাজ পান ওই এলাকারই ইউপি সদস্য খালেকুজ্জামান। নিয়ম রয়েছে যে কোন ব্রিজ নির্মাণের এক বছরের ভিতরে সমস্যা হলে তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দিয়ে মেরামত করে দেওয়া। ব্রিজটি নির্মানের প্রায় ৮ বছর পর খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক হবে বলে তাদের ঠিকাদারী নিয়ম রয়েছে বলে জানান।
এ ব্রিজ দুটি ও সড়কের অনিয়ম নিয়ে জানতে চাইলে সেলিম ও মনির হোসেন মোল্ল্যা জানান, ব্রিজ নির্মানের ছয় মাসের মধ্যে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে সাইকেল চলানও কঠিন অবস্থা। ঠিকাদাররা ঘাঁটে ঘাঁটে টাকা দিলে উন্নয়ন কাজ সঠিক কিভাবে হবে ? এপ্রোস সড়ক ও ইটের সলিংয়ের কাজটি সঠিক ভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করলেও তারা এলাকাবাসীর কোন কথাই গুরুত্ব দেয়নি।
এলজিইডি উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন বলেন, ব্রিজটির উপর থেকে নিচে পানি গড়িয়ে নামার কারনে দু’পাশের মাটি সরে গিয়েছে। যার ফলে মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তবে সড়কটির পাশে এলজিএসপির অধীনে ইউপি সদস্য ইটের সলিং এর কাজটি করেছেন তা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন।
এলজিএসপির সহয়তায় ইটের সলিংয়ের কাজ করা ইউপি সদস্য খালেকুজ্জামান বলেন, আমি সঠিকভাবে সড়কের কাজ করেছি। এখানে কোন দুর্ণীতি ও অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন।
0Share