নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়। উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা দুইটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ৪-৫ টি দোকান ভাঙচুর করে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেকসহ সভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু ও পৌর কমিটির সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার গ্রম্নপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা এরমান হোসেন বাচ্চুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এনিয়ে দু’পক্ষের নেতা-কর্মী মুখোমুখি অবস্থান করছে।
যে কোন সময় ফের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। এমরান হোসেন বাচ্চু পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে হেরেছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান হাবীব নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগ নেতা সোহেল চৌকিয়া নির্বাচনে আহসান হাবীবের হয়ে কাজ করেছেন। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ৯টার দিকে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও আশাপাশ এলাকায় এমরানের অনুসারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে।
সংঘর্ষে দেলোয়ার হোসেন, শাহিন, রুবেল হোসেন, মামুন আলো, শামিমসহ উভয় পড়্গের আটজন আহত হয় । তাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: নাসিম মিয়া বলেন, অভ্যনত্মরীণ দ্বন্ধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কাজ করছে।
0Share