কিশোর কুমার দত্ত: রামগঞ্জ গোপনে রাতের আধাঁরে সালমা আক্তার (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আসর থেকে পুলিশ দেখে মাসুদ আলম (৩৫) নামের এক বর পলিয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রসাশনের হস্তক্ষেপে ওই ছাত্রী বাল্যবিয়ে রক্ষা যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কনেসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলা রামগঞ্জ শহরের দক্ষিন বাজারে রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মনোয়ারা ভিলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের মাঝিরগাঁও গ্রামের আনোয়ার উল্যার ৮ম শ্রেনীতে পুড়–য়া মেয়ে সালমা আক্তার (১৪) এর সাথে পাশ্ববর্তী লামচর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের সুলতান আহম্মদের প্রবাসী ছেলে মাসুদ আলম (৩৫) এর সাথে সোমবার রাতের আধাঁরে বিয়ের আয়োজন করেন উভয় অভিভাবনকরা। ঘটনাটি খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করলে পুলিশ দেখে কৌশলে বর পালিয়ে যায়। এ সময় কনে সালমা আক্তার (১৪), কনের ভাই মোঃ মনির হোসেন, কনের ফুফু রোকেয়া বেগম, বরের বড় ভাই মোঃ মোমিন, ভাতিজা মোঃ রিয়াদ হোসেন রিন্টুসহ ৫জনকে আটক করা হয়। রাতেই ভ্রাম্যমান আদালতে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বর ও কনে উভয় পক্ষের ৫ হাজার টাকার জরিমানা আদায় করে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, আটককৃতদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারনামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share