নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগরে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে বিএনপি প্রার্থি মোসলেহ উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া ও ফাজিল ব্যাপারী হাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিএনপি কর্মীরা হলেন হুমায়ুন কবির (৪৬), এমরান হোসেন (১৮), আবদুর জাহের (৩৫), তুহিন (৩৬) ও মেজবাহ উদ্দিন মানিক (৩৫)। আহত আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হলেন-আবদুল আহাদ পলাশ (২৫), মো. রাজু (১৮), নাছির উদ্দিন (২৪), আনোয়ার হোসেন (২২) ফয়েজ আহাম্মদ (৫৫) ও মো. রফিকুজ্জামান বেলাল (২২)।
এদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন মানিক কে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে; ৯ জনকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের সমর্থক রফিকুজ্জামান বেলাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।আরো ৩ জন স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন্
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মুসলিমপাড়ায় বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিন তার সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সল আহমদ রতনের সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি’র প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। পরে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পার্শ¦বর্তী ফাজিল ব্যাপারীর হাটে বিএনপির সমর্থক ও আওয়ামীলীগ সমর্থকরা পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের আরো কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পরে কমলনগর থানা পুলিশ ও লক্ষ্মীপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থম থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, বিএনপি’র প্রার্থীর লোকজন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় আমার বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করায় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে। বিএনপি প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কবির আহাম্মদ। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। পক্ষগণ আইনী সহায়তা চাইলে তাদের তা দেয়া হবে বলে জনান তিনি।
0Share