নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগর উপজেলার ৯ নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪জন ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের কে স্থানীয় হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রবিবার (২৭ মার্চ ) দুপুর এবং শনিবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কবির, ছিদ্দিক উল্লাহ সওদাগর (৭০), নুরবানু বেগম (৬০), সুলতানা আক্তার কল্পনা (২৭), সালামা (৩৮), বিলকিছ বেগম (২৭), নাজমুন নাহার, ফারুক হোসেন, রাশেদ, মরিয়ম, ফয়েজ আহমেদ, ছেরমতের নেছা, এবং নাছিমা আক্তার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য আবদুর রহিম প্রকাশ দুলাল মেম্বারের ৫/৬ জন সমর্থক পরাজিত প্রার্থী মোঃ বাহারের সমর্থক রাশেদ কে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোক জনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ জন আহত হন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ৩নং ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থী শাহ আলম মোল্লার একটি বিজয় মিছিল পরাজিত প্রার্থী কবিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কবির কে উদ্দেশ্য করে অশালীন শ্লোগান দিচ্ছিল। এ শ্লোগান শুনে কবিরের মা বাড়ি থেকে আপত্তি জানালে মিছিলকারীরা কবিরের মা কে উদ্দেশ্য করে তাদের বাড়িতে হামলা করে । এ সময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।
কমলনগর থানা পুলিশের উপসহকারী পরির্দশক (এসআই) মানিক চন্দ্র বড়–য়া জানান, ২৭ মার্চ দুপুরে দু ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মাঝে কথাকাটাটির মাঝে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। অভিযোগ পেলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। অন্য দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার ঝন্টু দাস বলেন, গত ২ দিনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১৩ জন হাসপাতারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
0Share