জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি: রামগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুবির চন্দ্র কুরি গ্রাহকদের প্রায় দেড় কোটি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে। উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ী বাজারের গ্রাহকরা রোববার বাজারে এসে দোকান বন্ধ দেখে পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়। ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল হুদা খোকন জানান, রাতের আঁধারে সুবির স্বর্ণ ও টাকাসহ দেড় টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে বলে লোকজন জানিয়েছে। প্রতারিত লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। অনেকে অসুস্থ হয়েছে। খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, তিনি (স্বর্ণকার) বাড়িও বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চিলকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত মাখন কুরির ছেলে সুবের চন্দ্র কুরি পাঁচ বছর আগে কেথুড়ী বাজারে জুয়েলারি দোকান দেন। তিনি সেখানে বন্ধক ব্যবসায়ও করতেন। সুবির বিভিন্ন সময় লোভনীয় অফার দেখিয়ে কেথুড়ী গ্রামের জামাল মিয়ার ২০ লাখ, সিরাজ মিয়ার ১৫ লাখ, পারভিন বেগমের পাঁচ লাখ ও আট ভরি স্বর্ণ, পিরুর দুই লাখ, উত্তর গ্রামের সিরাজ কেরানির পাঁচ লাখ, মনা মিয়ার চার লাখ ৫০ হাজার, ফারুক হোসেনের চার লাখ, তাজুল ইসলাম পাঁচ লাখ ও ৫ ভরি স্বর্ণ, ভাদুর গ্রামের অনিল দাসের ১৫ লাখ, বাবুল দাসের চার লাখ, বাবলুর ১২ লাখ, জাহাঙ্গীরের আট লাখ, কামালের চার লাখ, হান্নানের দুই ভরি স্বর্ণ, আকলিমার বেগমের পাঁচ ভরি স্বর্ণ, রিনা বেগমের দুই ভরি, আয়েশা বেগমের এক ভরি স্বর্ণসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫/৬ দিন ধরে তার দোকানটি বন্ধ রয়েছে।
রোববার লোকজন তার বাড়িতে খবর নিয়ে জানতে পারেন, কয়েকদিন আগে তিনি (সুবির) সোনাপুর বাজারে দোকান নেয়ার কথা বলে বাড়িটি বিক্রি করে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে চলে গেছেন। তবে সোনাপুর বাজারে তিনি কোন দোকান নেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী জামাল মিয়া ও অনিল চন্দ্র দাস জানায়, তাদের সর্বনাশ করে সুবির রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন তাদের টাকার কি হবে ?
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা খোকনের ধারণা, সুবির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। এজন্য তিনি আগেই কৌশলে বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share