নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগতি বাজারের রেড ক্রিসেন্ট অফিস সংলগ্ন সরকারি জলাশয় দখলে নিয়ে মাছ চাষ কে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু ও অপর নেতা আনোয়ার হোসেন খাঁন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন । রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলার রামগতিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় মোতালেব হোসেন,বাবলুসহ আহতদের কে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় যুবলীগ কর্মী বাবলু ও মোতালেব হোসেনসহ ৫ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রামগতি বাজারের কসাই এলাকার রেড ক্রিসেন্ট পার্শ্বে সরকারি ৭০ শতাংশের একটি জলাশয় নিয়ে রামগতি বড়খেরী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু ও আনোয়ার হোসেন খাঁনের মধ্যে দখল বিরোধকে কেন্দ্র করে আধিপত্যের প্রভাব ঘটে। রবিবার সকালে আনোয়ার হোসেন খাঁন তার লোকজন নিয়ে মাছের জলাশয়টি দখলের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলুর লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয়। এতে দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মোতালেব হোসেন,বাবলু,মেহেরাজ উদ্দিন ও সহেলসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন ভিপি হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ওই মাছের ঘের যুবলীগ নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। রোববার সকালে আনোয়ার হোসেন খাঁনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই মাছের জলাশয় দখলে যায়। এতে যুবলীগের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হলে তাদের হামলা যুবলীগের ১০ নেতাকমী আহত হয়।
এদিকে আনোয়ার হোসেন খান দাবি করেন ওই মাছের জলাশয় তার দখলে আছে । তিনি উল্টো অভিযোগ করেন বলেন, যুবলীগ নামধারীরা জলাশয় এসে চাদাঁ দাবী করে এবং তাদেরকে চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দুই-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
0Share