জুনাইদ আল হাবিব: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় প্রত্যন্ত জনপদ কমলনগরের মেঘনা তীরের ইউনিয়নগুলো ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে করে অত্র অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কর্মজীবী মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েন। বুধবার (১৮ মে) বিকাল ৩ টা থেকে টানা আড়াই ঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাস্তা-ঘাট, খাল-বিল, পুকুরসহ মেঘনা তীরের ক্ষেতগুলো। জানা যায়, অত্র এলাকার বেশ কিছু রাস্তা প্রশাসনের অনজরদারিতে সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকায় প্রতিক্ষণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এই প্রত্যন্ত উপকূলের জীবিকার সন্ধানে ছুটে যাওয়া মানুষ কিংবা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
কিন্তু, ভাগ্যের এ কি নির্মম পরিহাস এ উপকূলের সমস্যাগুলো আমলে নিচ্ছেনা প্রশাসন। ফলে, দুর্ভোগ আর উৎকন্ঠা প্রতিক্ষণে বেড়েই চলছে। কেউ দিচ্ছে না খুশির সংবাদ, ভাগ্যে আছে শুধু এই এলাকার মানুষের কপালে দুঃসংবাদ।
স্থানীয় মতিরহাট বাসিন্দা তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হাসান জানান, মেঘনার জোয়ারের পানির ঢেউয়ে মতিরহাট বাজারসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। মতিরহাট বাজার মসজিদটি দীর্ঘদিন মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গণ কবলিত স্থানের সাথে অবস্থিত হওয়াতে জোয়ারে ঢেউয়ে মসজিদে পানি প্রবেশ করে । ফলে, মুসল্লিদের নামাজ পড়া বিঘ্নিত হয়।
স্থানীয় কালকিনি মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সুমন জানান, বিকাল বেলা ভারি বর্ষণে আমাদের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। ফলে, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে।
কালকিনি ইউপি সদস্য ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসান লিটন জানান, নিম্মচাপেরের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত পানি ডুকে পড়লে ব্যবসায়িদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, এলাকার খালগুলো ভরাট হওয়ায় জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিগুলো এলাকায় ধারণ করা যাচ্ছেনা। ফলে,আরো জলাবদ্ধতার আশাংকা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায়, এলাকায় খাল খনন ও রাস্তা-ঘাটগুলো সংস্কার করে অনতিবিলম্বে সমস্যার সমাধান হোক, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
0Share