নিজস্ব প্রতিনিধি: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মেঘনাপাড়ের ৯ টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। মেঘনা তীরবর্তী ওই ইউনিয়নগুলোতে পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ও এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ইউনিয়নগুলো হচ্ছে-কমলনগর উপজেলার পাটারীরহাট, চরফলকন, সাহেবেরহাট ও চর কালকিনি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে পৌনে দুই লাখ মানুষ বসবাস করলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় নেয়ার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ২৫টি (সাইক্লোন শেল্টার ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রসহ)।
এছাড়াও কমলনগর জুড়ে তীব্র নদী ভাঙ্গন ও কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় অধিবাসিরা বেশি চিন্তার মধ্যে পড়েছে। এর্ধ্যেই কমলনগরের বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। বহু বছর আগে যে বেড়িবাঁধটি ছিল তা ইতোমধ্যে নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মাত্র ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারলেও ঘূর্ণিঝড় রোয়ানের ’র আঘাত অথবা এর ফলে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হলে বাকিরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন।
কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার ছায়েফ উল্যাহ জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করলেও তাদের নিরাপত্তায় কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নেই। বিভিন্ন সময়ে তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হলেও ইতোমধ্যে সেগুলো মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে থাকা ওইসব মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধের অভাবে কমলনগরের মানুষদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসন এলাকায় যে আশ্রয় কেন্দ্র গুলো আছে তার সবগুলো প্রস্তুত রেখেছেন। ইতোমধ্যে মাইকে সতর্কবার্তা জানিয়ে মেঘনাপাড়ের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
0Share