নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ জেলার কয়েকশত ছাত্রছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শুক্রবার সকালে শহরের একটি স্থানীয় পত্রিকায় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফায়সাল আলম সিপাতের বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল আলম নাহিদ জানান, এ বছর অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া কেন্দ্রের সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে একজনও জিপিএ ৫ না পাওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এ ফলাফল কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। উল্লিখিত কেন্দ্রে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মনে করছেন, এর মধ্যে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল। কারণ এসব শিক্ষার্থীরা বিগত পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ মেধা তালিকায় তাদের অবস্থান ছিল। এ কেন্দ্রের বাংলা ও রসায়নসহ সকল বিষয় পুনর্মূল্যায়ন করলে কমপক্ষে ৭০ জন শিক্ষার্থী জিপি এ ৫ পাবে।
এ সময় অপর শিক্ষার্থী মার্জিয়া মাহজাবিনের বাবা অধ্যাপক আ হ ম মোশতাকুর রহমান ও ইসরাত মেহজেবিন তিহার বাবা অ্যাডভোকেট মো. বেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নিরীক্ষণের ত্রুটির জন্য শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে পড়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি। এ সময় আরো অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রর কয়েকজন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার থাকলেও তাদের অনেকে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। প্রকাশিত ফলাফল তারা অনেকে মানতেই পারছেন না। তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাবিবা বিনতে লিয়াকত, আহমেদ রাসেল এবং মানবিকের সুমি আক্তার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে নির্বাক । অন্য দিকে ব্যবসা শিক্ষার ছাত্র নাজিম উদ্দিন , ব্যবসা শিক্ষার এরফান ফেল ফলাফল মানতেই পারছে না। তারাও ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নেরদাবি জানান।
এ ব্যাপারে হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্কুলের ২০৩ জনসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। হাজিরপাড়া বিদ্যালয়ের ৪০ এবং পুরো কেন্দ্রে অন্তত ৭০ জন জিপিএ ৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। একজনও জিপিএ ৫ না পাওয়ায় এ ফলাফল সঠিক বলে বিশ্বাস করতে পারছি না। এ ফলাফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ আমরা সবাই হতবাক হয়েছি। বিশেষ করে বাংলা, রসায়ন ও ইসলাম শিক্ষাসহ সকল বিষয়ে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন দাবি জানান তিনি।
0Share