রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছানা উল্যা নামে এক পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ও তার অনুসারী যুবলীগকর্মী ওয়াসিমের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে মাইনুদ্দিন মৈশাল নামে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নব নির্বাচিত এক ইউপি সদস্য ও তার পরিবার। তিনি অভিযোগ করে জানান, যুবলীগকর্মী নিজে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে মাইনুদ্দিনসহ ও তার পরিবারের লোকজনকে নতুন করে মামলায় ফাঁসানো পায়তারা করছেন । ওই মামলার আসামী যুবলীগ কর্মী ওয়াসিম ও তার ভাই ইমনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাসহ এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা দু’জনেই পুলিশের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন ১০নং রায়পুর ইউপি সদস্য (মেম্বার) মাইনুদ্দিন মৈশাল। এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য মহি উদ্দিন মেশাল, ইব্রাহিম মৈশাল ও উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক অহিদ উল্যা মেশাল উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, গত ৭মে রায়পুর উপজেলার ১০ নং রায়পুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সদস্য পদে আ’লীগের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হন মাইনুদ্দিন মৈশাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী হন একটি স্কুলের নৈশ প্রহরী হত্যা মামলার আসামী ছানা উল্যা। প্রার্থী হয়ে ছানা উল্যা তার প্রতিদ্বন্দি মাইনুদ্দিনকে প্রার্থীতা প্রতাহার না করলে হামলা ও হত্যার হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয় লাভ করে মাইনুদ্দিন। অব্যাহত হুমকীর মুখে নির্বাচনের দু’দিন পর মাইনুদ্দিন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে বাড়ী ফিরছিলেন। পথে পৌর শহরের পীরবাড়ী সংলগ্ন স্থানে পৌছলে মাইনুদ্দিন ও সেচ্ছাসেবকদল নেতা অহিদ মৈশালের ওপর স্বশস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে ছানা উল্যা তার অনুসারি ওয়াসিম মৈশালসহ কয়েক জন । পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ছানা উল্যা ও তার ভাইকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান। এঘটনার জের একই দিন রাতে ছানা উল্যার অনুসারি যুবলীগকর্মী ওয়াসিম নিজের ঘর ভাংচুর করে থানায় মিথ্যা মামলা দেয়ার চেস্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে সে গত সোমবার একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক ডেকে এনে রিপোর্ট করিয়ে পাল্টা মামলায় ফাসানোর পায়তারা করতে থাকে।
রায়পুর থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি সদস্যসহ দুই জনের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলার আসামী ছানা উল্যা এ মামলায়ও জামিনে রয়েছে। তার অনুসারি ওয়াসিম ও তার ভাই ইমনও একাধিক মামলার পলাতক আসামী। তাদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।
0Share