রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে জমির দখলদার নিয়ে বিরোধ মামলায় আদালতে দাখিল করা প্রতিবেন নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাদি-বিবাদি উভয় পক্ষ। রায়পুর কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আনম নিজাম উদ্দিন প্রতিবেদন দিয়েছেন বাদি মোঃ জামাল হকের পক্ষে। অপর দিকে পৌর তহসিলদার প্রহলাদ মজুমদার বিবাদি জসিম উদ্দিনের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এনিয়ে বাদি-বিবাদি উভয় পক্ষের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা। যে কোন সময় দু’পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কেরোয়া গ্রামের জিনের মসজিদ সংলগ্ন মৃত সালামত উল্যার বাড়ীতে। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবে এসে একই ঘটনায় দুই রকম প্রতিবেদনের কপি দেখিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে এঘটনার প্রতিকার দাবি করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত জসিম উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানান, ১৯৭৫ সালে দাদার কাছ থেকে ওয়ারিশ সুত্রে পেয়ে পৌর ৭নং ওয়ার্ডের কেরোয়া গ্রামের জিনের মসজিদ সংলগ্ন মৃত সালামত উল্যার বাড়ীতে বসবাস করছিলেন জসিম উদ্দিন। একই বাড়ীর জামায়াতকর্মী জামাল হকের সাথে ওই জমির দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তার বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের নভেম্বরে ওই জমিতে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন জসিম উদ্দিন। এতে বাধা দিয়ে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর জসিম উদ্দিন ও কামরুলকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে ভুমি দখল ও উচ্ছেদ আশংকায় একটি মিস মামলা দায়ের করেন ঢাকা বসবাসকারি জামাল হক। এ মামলায় গত ২ মে পৌরসভার তহসিলদার প্রহলাদ মজুমদার, এসিল্যান্ডসহ বিবাদি জসিম উদ্দিন তর্কিত ভুমিতে দখলে আছেন ও বাদির কোন সম্পত্তি নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দেন। আদালতে জামাল হক নারাজি দিলে আদালত পুনরায় রায়পুর আলীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনম নিজাম উদ্দিনকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বাদি জামাল হক ওই তর্কিত জমিতে দখলে আছেন বলে গত ১৬ মে আদালতে প্রতিবেদন দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
এঘটনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আনম নিজাম উদ্দিন ও পৌরসভার তহসিলদার প্রহলাদ মজুমদার উভয়েই সঠিক প্রতিবেদন আদালতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
0Share