হাসান মাহমুদ শাকিল: বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের সদর, রামগতি ও কমলনগরে কয়েকটি বেড়ীবাঁধ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের বুড়ির ঘাট এলাকায় নতুন করে নির্মাণ করা ওয়াপদা বেড়ী বাঁধটি মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এক পাশে নদী অন্য পাশে ওয়াপদা খাল থাকায় প্রতিনিয়ত মেঘনার জোয়ারের পানিতে বেড়ী বাঁধটি ক্রমান্নয়ে ধ্বসে পড়ছে। এভাবে এক সময় বেড়ী বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা এলাকাবাসীর। অন্যদিকে পানিবন্দি হয়ে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে গ্রামবাসী। এর আগে এ এলাকার দুটি বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে হারিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, মেঘনার নদীর প্রবল জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে কয়েকবার বেড়ী বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। ২০১৪ সালে বর্ষায় বৃষ্টি ও মেঘনার প্রবল জোয়ারে বাঁধটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে নতুন করে বেড়ী বাঁধ তৈরি করা হয়। কিন্তু বেড়ী বাঁধটি নদী এবং খালের মোহনায় হওয়ায় প্রবল জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ বেড়ী বাঁধটিও কয়েকবার সংস্কার করতে দেখা গেছে। তারপরও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বাঁধ ভাঙন রোধে শীঘ্রই কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এ বেড়ীটিও নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। নদী ও খালের মোহনায় বাঁধটি নির্মাণ করায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ফসলের মাঠ। এসব সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য বাঁধের পাশে পেলাসাইটিং, বালুর বস্তা অথবা ব্রিজ করে বেড়িটি রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০১৫-১৬ অর্থ বছরে হোল্ডার ৫৯/২ বুড়ির ঘাট টাইবান প্রকল্পের আওতায় বেড়ি বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়। এ প্রকল্পের ঠিকাদারের প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন জানান, বেড়ী বাঁধটি সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে নদী ও খালের মোহনায় বাঁধটি নির্মাণ হওয়ায় জোয়ারের পানিতে বাঁধটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যাচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বেড়ী বাঁধটি ধ্বসে পড়লে পরে তারা নিজ অর্থায়নে পুনঃরায় সংস্কার করে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। পানি উন্নয়ন বোর্ডে এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
0Share