মো.জুনাইদ আল হাবিবঃ মেঘনাতীরবর্তী উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরের নিম্মাঞ্চলের শত শত গ্রাম জোয়ারের পানিতে ভাসছে। ৩ জুলাই রোজ রোববার বেলা ২টায় সৃষ্ট জোয়ারের অত্যধিক স্রোতে এলাকার গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করলে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বর্তমানে নিমাঞ্চলের বেশ কিছু বেঁড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।গত ১ জুলাই শুক্রবার থেকে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদূর্ভোগ প্রতিক্ষণ যেন বেড়েই চলছে। এসব এলাকার খালগুলো বর্তমানে ভরাট হওয়ায় জোয়ারের পানিগুলো দূরবর্তী স্থানে পৌঁছতে বাধা খাচ্ছে। মেঘনার ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় মাটিগুলো জোয়ারের পানিতে মিশ্রিত হয়ে প্রতিদিনই খালগুলো ভরাট হতে চলছে। এ অবস্থায় নদীতে জোয়ার আসলেই পানি খালগুলো ধারণ ক্ষমতার বাহিরে । ফলে পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি গ্রাম গুলোত ডুকে পড়ে। বন্যার সময় মেঘনাতীরে ঘুরলে নজরে পড়ে,জোয়ারের অত্যধিক স্রোতে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সাক্ষাৎ হয় স্থানীয় মেঘনাতীরের শিক্ষার্থী মো.দিদার হোসেনের সাথে। জানায়, প্রতিনিয়ত এভাবে জোয়ারের ফলে আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষগুলো দূর্ভোগের বেড়া জালে আটকে থাকে।স্থানীয় বাজারগুলোত মালামাল আনা নেওয়াতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় কমলনগর উপজেলার মেঘনা পাড়ের মো.ইসমাইল হোসেন জানান, আমাদের বাড়ির নিকটবর্তী বেড়িবাঁধটি জোয়ারের পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।যেকোনো সময় বেড়িবাঁধটি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে, প্বার্শবর্তী এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশাংকা রয়েছে। কমলনগর উপজেলার মার্টিন,কালকিনি,ফলকন,চর লরেন্স.সাহেবেরহাটসহ রামগতি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম জোয়ারের পানিতে বর্তমানে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত। তাই লক্ষ্মীপুরের উপকূলের এই নিম্মাঞ্চলের মানুষগুলোকে দূর্ভোগ থেকে
রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধ সংকট সমাধান করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা এই প্রত্যন্ত জনপদের মানুষগুলোর।
0Share