মো.জুনাইদ আল হাবিবঃ মেঘনায় উত্তাল ঢেউয়ের তীব্র আঘাতে কমলনগর-রামগতি হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ এলাকায় হাজারো মানুষ জোয়ার
হলেই পানি বন্দি হয়ে যায়।শনিবার ( ২৩ই জুলাই ) দুপুর থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৩ ঘন্টার সৃষ্ট জোয়ারে এলাকার পথে প্রান্তরমূখী জোয়ার প্রবেশ করতে দেখা যায়।বেশ দূর্ভোগে কাঁপড় হাটুর উপর উঠিয়ে ও ভিজে চলাচল করতে দেখা যায় এই নিমাঞ্চলের জীবিকার সন্ধানীদের।এদিকে জলোচ্ছাসের ফলে এলাকার বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।এসব বেড়িবাঁধ ছুটে দূরবর্তী স্থানগুলোর মানুষও পানি বন্দি হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। জোয়ারের পানিগুলো চলাচল করে মেঘনায় প্রবেশের সময় ভাঙ্গন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে একের পর এক বসত-বাড়ি বিলীন হওয়ার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে এলাকাটি ।এই তীরের মানুষগুলোর মুখে শোনা যাচ্ছে শুধু হাহাকার।মেঘনা তীরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে ব্যহতের পথে। পানিবন্দি এলাকায় দেখা মিলে মার্টিন জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো.আলমগীরের সাথে।সে জানায়, খালগুলো বর্তমানে পানি ধারণ ক্ষমতার কারণে আমি বাড়ি প্রতিটি জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়। আমাদের
এলাকার বেশ কিছু পুকুর থেকে মাছ উধাওয়ের ঘটনা লক্ষ করা গেছে। এতে. আর্থিক সংকটে ভোগান্তি পিছু হটছেনা মাছ চাষীদের।অনেকে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ায় সাংসারিক প্রয়োজনগুলো সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। রোয়ানুর তান্ডব পরবর্তী এসব এলাকায় মিলেনি কোন সহায়তা।এতে মাছ চাষ করতে আতংক বোধ করছেন চাষীরা। এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াই ঐসব রাস্তা দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে যার মূল কারণ হচ্ছে রাস্তাগুলোতে প্রয়োজন মোতাবেক বাঁধ দেওয়া হয়নি। অনতিবিলম্বে এলাকার খালগুলো খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে জোর দাবি এই কমলনগর-রামগতিবাসীর।
0Share