জুনাইদ আল হাবিবঃ উপকূলের বিচ্ছিন্ন লোকালয় লক্ষ্মীপুরের নিম্মাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়ে।গত কিছু দিনের চেয়ে বৃহঃস্পতিবারের (৪ জুলাই) জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে মেঘনাতীরবর্তী হাজারো পরিবারের লক্ষাধিক মানুষের জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে। মেঘনা তীরের পরিবারগুলো রান্না-বান্না করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম চুলাগুলো পানির নিচে তলিয়ে পড়ায় খাওয়ার তৈরিতে নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। দৈনিক দুইবারের এই অস্বাভাবিক জোয়ারে সাধারণ পরিবারগুলোর দূর্ভোগের মাত্রা প্রতিক্ষণ বাড়িয়ে তোলে। বৃহঃস্পতিবার দুপুর আড়াইটার সৃষ্ট জোয়ার পর্যবেক্ষণ করলে নজরে পড়ে, লোকালয়গুলোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বাড়িঘর,দোকান-পাট, রাস্তাঘাট পানি ডুবে যাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়ে মানুষগুলো।নজরে পড়ে, কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি কে আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে ভিজে ঘরে ফিরছে।একটু দূর গেলেই নজরে পড়ে,একজন অভিবাভক তার মেয়েকে অস্বাভাবিক জোয়ার থেকে আশ্রয়ে আনার জন্য পিঠে করে বেড়িবাঁধে তুলছেন।এলাকার মসজিদগুলো বর্তমানে জোয়ারের পানিতে ভাসছে। ফলে,ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ইবাদতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক দূরে কমলনগর মার্টিন এলাকায় নতুন করে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়। এলাকার বেশ কিছু রাস্তা বেড়িবাঁধের আওতায় না আসায় রাস্তাগুলোর উপর দিয়ে
পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ছোবল হানা উপকূলের এই প্রান্তিক জনপদের হাজারো পরিবারে দূর্ভোগের মাত্রা প্রতিবছর বৃদ্ধি করে দেয়।অতীতের চেয়ে এসব এলাকায় পানি প্রবেশ করায় বেশ জোয়ার আতংকে ভূগছেন এলাকাবাসী।স্থানীয় একজন জেলে জানায়, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জোয়ার হলে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি হয়ে জনমানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে। এ মৌসুমের অন্যতম ফসল আউশ ধানের ক্ষেতগুলোতে জোয়ারের স্রোতে আক্রমন করায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিতে পড়ার আশাঙ্কা কৃষকদের। ৪ই আগষ্ট রোজ বৃহঃস্পতিবারের অস্বাভাবিক জোয়ার অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। জোয়ারের অত্যাধিক স্রোতের ফলে এলাকার বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।এসব বেড়িবাঁধ ও রাস্তাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অনজরদারিতে সংস্কার হচ্ছেনা।এলাকার খালগুলো ভরাট হওয়ায় জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছতে পারেনা বিধায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ কিংবা রাস্তাগুলোকে আরে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। অনতিবিলম্বে এসব এলাকার সমস্যা সমাধানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো।
0Share