নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় ২৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উঠান মাড়িয়ে বসত ঘরে পানি উঠে পড়ায় দুভোর্গে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় গ্রামগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়।
প্লাবিত গ্রামগুলো হল- কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, মতিরহাট, জনতাবাজার, হাজি মার্কেট, নাছিরগঞ্জ, তালতলি, দক্ষিণ মার্টিন, হাজিপাড়া, মধ্য মার্টিন, বলিরপোল, নবীগঞ্জ, কাদিরপান্ডিতের হাট, মাতাব্বরহাট, ফলকন, পাটারিরহাট। রামগতি উপজেলার বড় খেরী, আলেকজান্ডার বালুর চর, চর আলগীসহ ২৫টি গ্রাম।
শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই সব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে রয়েছেন। মেঘনা জোয়ারের পানিতে আউশ ধানের মাঠ, আমনের বীজতলা ও রোপা আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পুকুর ও ঘেরের মাছে পানিতে ভেসে গেছে।
কমলনগর উপজেলা যুব লীগের সভাপতি ফজলুল হক সবুজ বলেন, নাজিরগঞ্জ এলাকায় তার এক আত্মীয় বসতঘরে পানি উঠে। এখন ঘরের সোফার ওপরেও পানি। ওই এলাকায় বর্তমানে শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, কয়েক বছরের মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বেড়িবাধ মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই জোয়ারে ওই সব গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এ সময় এলাকায় দুর্ভোগ নেমে আসে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত কয়েকদিন থেকে মেঘনা নদীতে পানির চাপ বেশি। স্বাভাবির চেয়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ফুট পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার এলেই উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
0Share