কাজল কায়েস, জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ২ বছরেও গঠন করতে পারেনি নেতারা। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্ভর হয়ে পড়ছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় পদ প্রত্যাশীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা।
ক্রমেই লক্ষ্মীপুর জেলার ছাত্রলীগের রাজনীতি সাংগঠনিক রাজনীতির পরিবর্তে ভাই নির্ভর হয়ে উঠছে। সম্প্রতি রায়পুর পৌর কমিটির এক ছাত্রনেতার মুক্তির দাবিতে ব্যানারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি বড় ছোট নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বিক্ষোভ করেছে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অনুসারীরা। ফেইসবুকেও চলে একপক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করে পাল্টা পাল্টি স্ট্যাটাস।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর সর্বশেষ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরের বছরের ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় নেতারা ৫ সদস্যদের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এতে চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলকে সভাপতি, আশরাফুল আলমকে সহ-সভাপতি, রাকিব হোসেন লোটাসকে সাধারণ সম্পাদক, শাহাদাত হোসেন শরিফকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মামুনুর রশিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, সদর, সরকারি কলেজ, রামগঞ্জ উপজেলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত করা হয়- রায়পুর উপজেলা, পৌরসভা, সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও রামগতি উপজেলা শাখা কমিটি। এছাড়া ২০১২ সালে রামগঞ্জ পৌরসভা কমিটি হয়েছে। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাছান ফয়সাল মালকে সম্প্রতি উপজেলা কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়। এতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে পৌর কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত ৫ নেতা এক বারের জন্যও নিজেরা এক সাথে বসতে পারেননি। এজন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ব্যানারে বিভক্ত হয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা কাজ করছে। এটি দলের জন্য অশনি সংকেত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হতে না পারলে খেসারত দিতে হবে দলকে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অন্যদের নূন্যতম সমন্বয় নেই। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হলেও তারা আমাদের জানানোর প্রয়োজনও অনুভব করে না। নিজেদের অনুসারী কাছের ছোট ভাইদের নিয়েই তারা ব্যস্ত।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল বলেন, পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এটি অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়া হবে। এতে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আরো বাড়বে।
0Share