নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে নানী মনোয়ারা বেগমকে(৫৫) বাঁচাতে গিয়ে মামা সেলিমের (৩৫) বটির কোপে ভাগিনা রোহান হোসেন (১৪) গুরুতর আহত হয়েছে। ধারালো বটির আঘাতে ভাগিনার পেটের ভুড়ি বেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী গ্রামের নজির উদ্দিন মাঝী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মামা সেলিম পলাতক রয়েছেন।
রোহান একই গ্রামের বাসিন্দা বিধবা মা মিনরা বেগমের ছেলে ও দারুল আমান একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানায়, পুত্রবধূ পারভিনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটতো সেলিমের মা মনোয়ারা বেগমের। সকালে তার সাথে পুত্রবধূর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে তার ছেলে বাড়িতে আসলে বউয়ের উস্কানিমূলক কথায় মাকে মারধর করতে আসে ছেলে সেলিম। এক পর্যায়ে মাকে মারার জন্য বটি হাতে নিয়ে তাড়া করলে নানীকে বাঁচাতে রোহান এগিয়ে আসে। এসময় মামার হাতে থাকা বটির আঘাতে রোহানের পেট কেটে ভুড়ি বেরিয়ে আসে।
মনোয়ারা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বউয়ের উস্কানিমূলক কথা শুনে ছেলে সেলিম তাকে মারতে আসে। এসময় তার নাতি রোহান মামার হাত থেকে নানীকে বাঁচাতে গিয়ে বটির আঘাতে গুরতর আহত হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন জানান, আহত রোহানের পেটের অবস্থা খুবই গুরুতর। বটি’র আঘাতে তার পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share