নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়পুরে চরকাচিয়া এলাকায় চাষাবাদকৃত জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য খননকৃত খাল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকরা জানান, চরকাচিয়া মৌজায় ১৯৭৫ ও ৭৬ ইং ৫০ ফুট প্রস্থ ও ৩ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য করে পানি নিষ্কাশনের জন্য সাবেক ইউপি মেম্বার ওহিদুল্লাহ প্রজেক্টর চেয়ারম্যান হয়ে খাল খনন করেন। এ খাল দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের চাষাবাদে জমে থাকা পানি মেঘনায় নিষ্কাশন হয়। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী একরাম আলী মাঝির ছেলে আনিসুর রহমান ও ফাতেমা বেগম ৬১ দাগে৭৫, ৩৪৩ দাগে ২৫ ও ৪৩৮০ নং দলিল, ৪৩২৮ দেখিয়ে ২২৫ নথিপত্র তৈরি করে ২৩/০৮/২০১৬ইং তারিখে রেজিষ্ট্রির তারিখ উল্লেখ করে পানি নিষ্কাশন খালের বন্দোবস্তসূত্রে মালিক দাবি তোলেন।
পরে খালে মাটি ফেলে ভরাট করে গাছ রোপন করেন। এতে করে স্থানীয় জেলেদের নৌকা নিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জেলেরা ও কৃষকরা ২২৫/১৫/১৬ তাদের বন্দোবস্ত নথি বাতিল করে খালে পানি নিষ্কাশন ও জেলেদের যাতায়াত ব্যবস্থা রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর ২৫/০৯/২০১৬ইং তারিখে আবেদন করেন। আবেদনে তারা ১৭/০৯/২০১৬ইং তারিখে বন্দোবস্তের কথা জানতে পারার কথা উল্লেখ করেন। চর কাচিয়া এলাকার বারেক হাজারী রাজ্জাক হাওলাদার কাদের সিকদার, আজিজুল হক জানান খালের গোফটের ভূমি যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে নাল ভূমি হিসাবে নদী বন্দোবস্ত দেয়া হয় তাহলে উক্ত বন্দোবস্ত সূত্রে নথির মালিক খালের মালিক খালের দু’পাশে চাষাবাদ করিবে। এতে খাল মাটি ভরাট হয়ে যাবে।
0Share