নিজস্ব প্রতিনিধি:: লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোঃ রাকিব হোসেন রনি (২৫) নামের এক সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় পতিপক্ষের লোকজনের অতর্কিত হামলায় ওই সাংবাদিকসহ তার পরিবারের ৪জন আহত হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক রনির বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড বাঞ্চানগর সোনালী কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক রনি “বাংলামেইল ২৪ ডট কম” এর জেলা প্রতিনিধি এবং লক্ষ্মীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক। বাকী আহতরা হলেন. সাংবাদিক রনির বাবা আবুল হোসেন, ভাই মোঃ শিপু ও চাচা আবুল কাশেম।
পুলিশ ও স্থানিয়রা জানায়, সাংবাদিক রাকিব হোসেন রনির পিতা আবুল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে মোহাম্মদ উল্যা গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। আজ বুধবার আবুল হোসেন পৌরসভা থেকে অনুমোতি নিয়ে ওই জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের জন্য বালু সংরক্ষণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ উল্যার নেতৃত্বে তার ছেলে হুমায়ুন, আজাদ, সিরাজ এবং রাছেল, আনোয়ারা বেগম, রেখা বেগম, রাব্বি, রকিসহ ১৫/২০ মিলে পুর্বে পরিকল্পিত ভাবে আবুল হোসেনের পরিবারের উপর হামলা করে। একপর্যায়ে সাংবাদিক রাকিব হোসেন রনিকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তারা। এসময় তাকে বাঁচাতে পিতা আবুল হোসেন, চাচা আবুল কাশেম ও ভাই সিপু এগিয়ে এলে ওই সংঘবদ্ধ চক্র তাদের উপরেও হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে সাংবাদিক রাকিব হোসেন রনির পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আজদ ও হুমায়ুন নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
আহত সাংবাদিক রাকিব হোসেন রনি জানান, জমি নিয়ে পৌরসভায় প্রতিপক্ষের লোকজন অভিযোগ করলে সরেজমিনে তদন্ত করে আমাদের কাছে কোন জমি পাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়। এক পর্যায়ে আমরা পৌরসভা থেকে অনুমোতি নিয়ে আজ সকালে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার জন্য গেলে মোহাম্মদ উল্যার নেতৃত্বে আজাদ, হুমায়ুন, সিরাজ, রাছেল, আনোয়ারা বেগম, রেখা, রাব্বি, রকিসহ ১৫/২০ আমার এবং আমার পরিবারের উপর হামলা চালায়। আমি এ হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চাই।
এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্যা আল মামুন ভূইঁয়া জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা এবং দু’জনকে আটক করা হয়েছে । বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
0Share