লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তাহমিনা আক্তার (২৮) নামের এক প্রসূতির ভূল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে। সিজারের সময় নবজাতকের মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত চিহ্ন পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) বিকালে এ ঘটানায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বজনা বিক্ষোভ করে হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে দুপুর ২টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় নোয়াখালীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। নিহত তাহমিনা আক্তার রায়পুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেরোয়া এলাকার ছয়াল বাড়ীর বাসিন্দা ও একই এলাকার দিনমুজুর হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের চাচা বিল্লাল হোসেন মুন্সিসহ স্বজনরা জানায়, সকাল ১১ টার দিকে প্রসববেদনা উঠলে তাহমিনা আক্তারকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুপুরে সিজারের মাধ্যমে তিনি এক কন্না সন্তানের জন্ম দেন। এসময় চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে সিজারের সময় নবজাতক শিশু মুখে আঘাত পায়। পরে ডাক্তাররা তার মুখে দু’টি সিলাই দেয়। এসময় ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রসূতির শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রসূতীর মৃত্যুর খবর পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা জানলে তারা এসে হাসপাতালে জড়ো হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
নিহত তাহমিনা আক্তারের চাচা ভাই নুর নবী জানান, টিএস ডাক্তার শাহরিয়া শায়লা জাহান ও ডাক্তার ফজল্লুলর ভুল চিকিৎসার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে তার চাচাতো বোনের মৃত্যু হয়। তাদের অবহেলায় নবজাতকের মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share