সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মসজিদের জন্য কাদঁছে কমলনগরঃ শেষবার দেখতে মেঘনাপাড়ে হাজারো মানুষ (ভিডিওসহ)

মসজিদের জন্য কাদঁছে কমলনগরঃ শেষবার দেখতে মেঘনাপাড়ে হাজারো মানুষ (ভিডিওসহ)

মসজিদের জন্য কাদঁছে কমলনগরঃ শেষবার দেখতে মেঘনাপাড়ে হাজারো মানুষ (ভিডিওসহ)

সানা উল্লাহ সানু:: একটি মসজিদের জন্য কাদঁছে পুরো কমলনগরের সাধারণ জনতা। মসজিদের মুসল্লী ও দর্শনার্থী সবারই চোখে পানি। আর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মেঘনায় সম্পূর্ন বিলীন হয়ে যাবে এ ঐতিহাসিক স্থাপনা। ১৯ অক্টোবর রাতে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদের দ্বিতল অংশটি। তাই শেষবার মসজিদটি দেখতে মেঘনাপাড়ে ছুটে যাচ্ছেন হাজার হাজার নারী পুরুষ। বুধবার (১৯অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের জগবন্ধু গ্রামস্থ কাদিরপন্ডিতেরহাট গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। শত বছরের এ মসজিদে এদিনই সর্বপ্রথম মাগরিব পড়তে দ্বিধায় পড়েছে মুসল্লিরা কারণ যে কোন সময়ই ভেঙ্গে পড়তে পারে মসজিদটি।

kamamalnagar-masjid

 

 

 

 

 

 

 

এলাকার স্থানীয়রা এতটাই আবেগে আপ্লুত যে মসজিদের দরজা, জানালা, গ্রিল কিছুই খুলেননি। তাদের বিশ্বাস ছিলো সৃষ্টি কর্তা যখন নিয়ে যাচ্ছে সবই নিয়ে যাক।

kamamalnagar-masjid-imam

শোকে নির্বাক হয়ে দিকহীন ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে মসজিদে ৪০ বছর থেকে ইমাম করা ইমাম হাফেজ ফয়েজ আহম্মদ কে। দেখতে এসে আবেগে চোখেরপানি এসেছে হাজিরহাট হামেদিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ যায়েদ হোসেন ফারুকীর। মসজিদটি শেষ বার দেখে গিয়ে পরে নিজের ফেসবুক একাউন্টে জানিয়েছেন অনুভুতি।

kamamalnagar-masjid-1

স্থানীয়রা জানায়, মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে গত ৫ মাস আগেই বিলীন হয়ে গেছে কমলনগরের ঐতিহ্যবাহী কাদিরপন্ডিতের হাট বাজার। কিন্তু এখানে অবস্থিত দারুচ্ছালাম জামে মসজিদ ও পাশের মাদরাসাটি টিকে যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস ছিল এ স্থাপনাগুলো হয়তো ভাঙ্গবে না। কিন্তু মাত্র ২ দিন থেকেই হঠাৎ করে মসজিদ ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। এতে ধর্মীয় অনুভুতির কারণে মসজিদ ভাঙনের কবলে পড়লে স্থানীয় মুসলিরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মসজিদ বিলীন হওয়ায় এলাকার লোকজনকে কান্না আর আহাজারি করতে দেখা গেছে।

এলাকার বাসিন্দা ও ঐতিহাসিক গ্রন্থ রামগতি দর্পনের লেখক ম. নুরুল আলম স্থানীয় সূত্র উল্লেখ করে জানান, বিংশ শতাব্দির ৩০-এর দশকে মরহুম হাজী মুসলিম নিজ বাড়ির দরজায় এ মসজিদ স্থাপন করেন। পরে স্থানীয় মরহুম ওমর আলী ফরাজী এ মসজিদের জন্য ৬৫ শতক জমি দান করেন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্নিঝড়ে মসজিদটি ব্যাপক ক্ষতি হলে এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট থেকে বেশি দূরত্বের কারণে বাজার কমিটির অনুরোধে মসজিদটি বর্তমান স্থানে স্থাপন করা হয়। ১৯৭০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মসজিদটির দেখাশুনা করেছেন স্থানীয় ব্যবসাী হাজী আমির হোসেন। পরবর্তীতে মাস্টার নুরুল আলমসহ স্থানীরা এ মসজিদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন। এ মসজিদটিই এক সময়ে বৃহত্তর রামগতির প্রথম দ্বিতল মসজিদ হিসাবে পরিচিতি পায়। বিগত ৪০ বছর থেকে ইমামতি করছিলেন হাফেজ ফয়েজ আহম্মদ।

মু.নুরুল আলম বলেন ‘এলাকার লোকজনের তিলে তিলে গড়া ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নির্বাক হয়ে গেছে।”

প্রসঙ্গত: মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে গত ৫ বছরে কমলনগর উপজেলার মোট ৩০৮ টি জামে মসজিদের মধ্যে প্রায় ১শ মসজিদ বিলীন হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলো কোডেক

উপকূলীয় অঞ্চলে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করলো কোডেক

সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র আঘাত করতে পারে : এ্যানি

উপকূলের ক্ষতিগ্রস্থ ৩ হাজার কৃষক পেল প্রণোদনা, রবি প্রণোদনা পাচ্ছে আরো ৪ হাজার ৩৭৫জন কৃষক

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রামগতি পৌরসভায় চলছে প্লান্ট নির্মাণকাজ

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com