রামগতি প্রতিনিধি: বেশিদিন আগের কথা নয়, অল্প কয়েকদিন আগেও এই স্কুল মাঠে ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলা সহ নানা রকম অনুষ্ঠান করতো। এ মাঠ যেনো এ এলাকার মিলন মেলা ছিল কিন্তু এখন তা ইতিহাস। প্রতিদিন এমাঠ দিয়েই চলছে নৌকা, জেলোরা ধরছে মাছ আর নদীর উত্তাল ঢেউ বিদ্যালয়টির শেষ অংশটুকুও বিলীনের পথে।
রামগতি উপজেলার রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি দক্ষিণাঞ্চলের একটি পুরাতন স্কুল, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬২ সালে। বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা দেখে উক্ত বিদ্যালয়ের ৪২০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সহ এলাকাবাসী দু:চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।
রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা মো: আজাদ উদ্দিন জানান, রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কিছুদিন আগে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। রঘুনাথপুর রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়টিও সর্বনাশা মেঘনার করাল গ্রাসে বিলীনের পথে। দ্রুত এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বাবুল চন্দ্র মজুমদার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি বিলীন হয়ে গেছে, এখন মাঠ দিয়ে চলেছে নৌকা। নদীতে অধিক জোয়ারের সময় আমাদের একাডেমিক ভবনে পানি উঠে। স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে নতুন স্থানে নতুন ভবনে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে, দ্রুত সরকারি কিংবা বে-সরকারি উদ্যোগে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যালয়ের বাকি ভবনটুকু রক্ষা পাবে।
রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম দিদার জানান, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অচিরেই শেষ হবে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের পুরানো ওই বিদ্যালয়টি।
এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শফি কামাল বলেন, উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় ও চর আবদুল্ল্যাহ ইউনিয়নের চর সেবেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
0Share