রায়পুর প্রতিনিধি:: রায়পুরে প্রায় সাত বছর আগে উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ৬ ইউনিয়নে নির্মিত উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয় ও তাদের বাসভবন ( বীজাগার) পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় এখন সেই ভবনগুলোতে রাতের বেলায় চলছে মাদব সেবিদের আড্ডাসহ অসামাজিক কার্যক্রম আর দিনে চলছে অফিস। এছাড়াও উপজেলার ৫৩ হাজার ৭৪০ জন কার্ডধারী কৃষক পরিবারের সুবিধার জন্য ও তাদের সেবা দিতে ২৫টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগ সহ ভবনগুলো সংস্কারে একাধিকবার আবেদন জানালেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।
কৃষি অফিসসূত্রে জানাযায়, ৪৬টি পদের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মাচারীই নেই ২৫ জন। তাদের মধ্যে ২ জন সহকারী, ১ জন সহকারী সম্প্রসারন, ১৭ জন উপসহাকরী কৃষি কর্মকর্তা, ১জন প্রধান সহকারী, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন মেকানিক), ১ জন প্রহরী ও ১ জন ঝাড়দার। ২০১০ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের পিছনে কৃষি অধিদপ্তরের কার্যালয়টি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। পাশেই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনের জন্য নতুন করা নির্মাণ করা ভবনেই কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় করা হয়।
জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পরিত্যাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই কখন যে ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে এ আতংঙ্ক নিয়ে কাজ করছে অন্য কর্মকর্তারা । অন্যদিকে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নের ৬টি ভবনে উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয় ও তার বাসভবনের জন্য পরিত্যাক্ত ঘোষনা করায় তা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এ সুযোগে এলাকার বখাটে যুবক ও মাদবসেবিরা আড্ডা সহ নানা অসামাজিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
পরিত্যক্ত অসহায় ভবনে চলছে রায়পুর কৃষি অফিস: ২৫ পদে নেই লোক pic.twitter.com/Ox5Qu0wAb8
— lakshmipur24.com (@lakshmipur24) November 15, 2016
রায়পুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পৌরসভার পরিত্যাক্ত কৃষি অফিস ভবনটিতে প্রায় সময় মাদকসেবিদের আড্ডা সহ ছিনতাইকারীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি সংস্কার করলে অসামাজিক কার্যক্রম দূর হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির আহমেদ বলেন, উপজেলার প্রধান কার্যালয় সহ ৬ ইউনিয়নে নির্মিত পরিত্যাক্ত ভবনগুলো সংস্কার করা সহ জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে।
0Share