রায়পুর প্রতিনিধি: দৈনিক যুগান্তরের রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠের বার্তা সম্পাদক তাবারক হোসেন আজাদের মা ও ছোট ভাইকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার রাত ১০টায় সাংবাদিক ও তার পিতার অনুপস্থিতিতে ওই সন্ত্রাসীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামের বকশি বাড়ীতে সিএনজি যোগে গিয়ে ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদল এ হুমকি দেয়। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে ও নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকের পিতা শহীদ পাটওয়ারী কামরুন নাহার সহ অজ্ঞাত ১০/১২জনের নামে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে সাংবাদিক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
সাংবাদিক আজাদ জানান প্রতিপক্ষ মমিন গংরা তাদের বিশাল সম্পত্তি দখল করে আছে। ওই মমিনদের সাথে আতাত করে তার চাচি কামরুন নাহার শাহিদা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানান ধরনের হয়রানি ও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় উল্টো থানায় সাংবাদিকের পরিবারের বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করেন। এ মামলা গুলোতেও আদালত সাংবাদিকের পরিবারকে অব্যাহতি দেন। পুনরায় ১৭ নভেম্বর কামরুন নাহার রায়পুর পৌরসভায় মেয়রের কাছে অভিযোগ করলে এর প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে আগামী ২ ডিসেম্বর বসার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই আবার শুক্রবার রাত ১০ টায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাংবাদিক ও তার পিতার অনুপস্থিতে রায়পুর থানা পুলিশকে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করে। তার এক ঘন্টা পরেই ২ সিএনজি যোগে ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে নানান ধরনের হুমকি দেয়। এ সময় বাড়ীর লোকজন ও গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে কামরুন নাহার সহ ওই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধি ও থানার ওসিকে অবহিত করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কামরুন নাহারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও না পেয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রায়পুর থানার ওসি লোকমান হোসেন জানান, মহিলার অভিযোগে পুলিশ সাংবাদিকের বাড়ীতে পাঠানো হয়। কিন্তু মহিলার অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় পুলিশ চলে আসে। তবে পুলিশ চলে পরোক্ষনেই সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ীতে গিয়ে হুমকি বিষয়টি শনিবার দুপুরে সাংবাদিকে পিতা বাদী হয়ে কামরুন নাহার ১০/১২জনকে আসামী করে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এস.আই জাহাঙ্গীর হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
0Share