লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : গুনধর পুত্রের অব্যাহত হুমকি-ধমকি, হামলা-মামলা আর শারীরিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ মা-বাবা বাড়িঘর ছেড়ে এখন অন্যত্র বসবাস করছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের ভাঙ্গাখা ইউনিয়নের হোগলডহরী গ্রামে। পুত্রের এমন অমানবিক আচরণে অতিষ্ঠ মা কাজল বেগম সমাজপতিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, কাজল বেগমের দাম্পত্য জীবনে দুই বিয়ে হয়। প্রথম স্বামী মৃত মমিন উল্যার ঘরে দুই মেয়ে এক ছেলের জন্ম হয়। বড় ছেলে আব্বাস ওরফে করিম। ১৯৮৭ সালে ৮ বছর বয়সে আব্বাসকে দত্তক (পালক) নেয় সুলতানী নামে ঢাকার এক ধর্ণাঢ্য মহিলা। পরে আব্বাস ওরফে করিমকে আবুধাবীতে পাঠান তিনি। সেখানে উটের জকি হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয় তাকে। পরে আবুধাবী থেকে ৮ বছর পর আব্বাস দেশে ফিরে আসেন।
এ দিকে আব্বাসের বাবার মৃত্যুর পর নুরুল্যাহ বাচ্চু নামে এক ব্যক্তির সাথে কাজল বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ওই সংসারে এখন দুই মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। দেশে আসার পর বিভিন্নভাবে মা কাজল বেগম ও সৎ বাবা নুরুল্যার সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আব্বাস। পরে জমি বিক্রি করে তাকে টাকা দেওয়া হলেও বাদবাকী জমিজমা তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে মা ও সৎ বাবাকে মারধর করে। ওই সময় একটি ব্যাংক লোনের জন্য মায়ের নামে ব্যাংক একাউন্টের একটি সাদা চেক ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় জামিনদার হিসেবে। পরে ওই চেক নিয়ে মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চেক জালিয়াতি মামলা দায়ের করে আব্বাস। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি ভুয়া মামলায় বা ও সৎ বাবাকে আসামি করা হয়েছে। ছেলের মামলা-হামলার ভয়ে মা কাজল বেগম ও সৎ বাবা নুরুল্যাহ বাচ্চু এখন সেনবাগ উপজেলার কানকির হাটে বসবাস করছেন। সেখানে গিয়েও বাচ্চু স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, কাজল বেগম ও তার স্বামী নুরুল্যাহ বাচ্চু।
0Share