রামগঞ্জ প্রতিনিধি: রামগঞ্জে সামছুল ইসলামের নামে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শ্রীরামপুরে। সামছু শ্রীরামপুর ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মুক্তিযোদ্ধা মহসিন ভূঁইয়ার ছেলে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার এএসআই সানাউল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে সামছুর কপালে,নাকে গলায় ও পিঠে বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ রয়েছে। স্ত্রী জেসমিন আক্তারের দাবি সামছুর হার্ট স্টকে মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সামছুর মৃত্যু নিয়ে উপজেলার সর্বত্র ব্যপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলা শ্রীরামপুর ভূইঁয়া বাড়ির ব্যবসায়ী সামছুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে ঢাকায় রায়েরবাগ মদিনা মসজিদের পাশে ৪তলা একটি ভবনের ৩য় তলায় স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। এরই সুবাদে সামছুর বন্ধু মোঃ হুমায়ুন সবসময় তার বাসায় আসা যাওয়া করতো। এতে করে সামছুর স্ত্রী জেসমিনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। পরে ৬জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সামছু ঢাকাস্থ রায়েরবাগে নিজ বাসায় গেলে হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী জেসমিন ও বন্ধু হুমায়ুন সহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাত দেড়টা সময় মৃত ঘোষনা করেন। তারপর তড়িঘরি করে সামছুর লাশ গ্রামের বাড়ি রামগঞ্জের শ্রীরামপুরে নিয়ে আসা হয়।
মৃত সামছুর বাগনী ফাতেমা বেগম জানান, রাত ২টায় আমার মা নাজমা বেগমের মোবাইলে মামার বন্ধু হুমায়ুন ফোনে সামছুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন আমরা লাশ নিয়ে আসতেছি। রাতেই দাফন কাপনের ব্যবস্থা করুন। নিহতের ছেলে ইউসুফ জানান, শুক্রবার বিকেলে আমাদের রায়েরবাগ বাসায় হুমায়ুন আঙ্গেল গিয়েছিল। মায়ের সাখে অনেক কথা হয়েছে। তারপর আমরা গুমিয়ে পড়েছি। এর পর কি হয়েছে আর জানি না।
নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জানান, আমার ছেলে কথা সঠিক নয়। হুমায়ুন শুক্রবার বাসায় আসেনি। আমার স্বামী রাত সাড়ে ৯টায় বাসায় আসার পর ভাত খেতে বসে। খাওয়ার অর্ধেক শেষ না হতেই বুকে ব্যাথার কথা বলে ভাত রুমের ভিতরে চলে যায়। কিছুক্ষন পর আমি ভিতরে গিয়ে দেখি ও মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে বন্ধু হুমায়ুন খবর দেই। পরে তড়িগড়ি করে আমি ও হুমায়ুনসহ তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এরপর আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোতা মিয়া জানান, পুলিশের এএসআই সানাউল্যা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আর ঢাকা মেডিকেল থেকে ডাক্তাররা পুলিশ কেইস নহে এমন সার্টিফিকেট দিয়েছে। আর মৃতব্যক্তির পরিবারের কোন লোকজন থানায় অভিযোগ দিতে রাজি নয়।
0Share