নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়পুরের গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের মূল হোতা শরীফ গ্রেফতার না হওয়া আতংকে রয়েছে ভিকটিম পরিবার। ঘটনার তিন সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ মূলহোতাকে ্এখনো ্গ্রেফতার করতে পারেনি। পলাতক রয়েছে তার বন্ধু লিওন।বখাটে শরিফ রায়পুরের পূর্ব কাঞ্চনপুর গ্রামের মিজান পাটওয়ারীর ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ বলেন, ঘটনার দিন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা একাধিক টিম আসামি শরীফকে খুঁজছি। এই মামলায় এর আগে আসলাম ও রনি নামে শরীফের দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবী শরীফ আটক হলেই বলা যাবে সব ঘটনা। তবে ভিকটিমের জবানবন্দিতে জানা যায় ঘটনার মূল হোতা শরীফ। ভিকটিম নারী শ্রমিক রাতের অন্ধকারে শরীফকে চিনতে পারে।
ঘটনার খোঁজ নিতে ভিকটিম গার্মেন্ট কর্মীর বাড়িতে গেলে তার বোন শাহনাজ বলেন, এতদিন হয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রধান আসামিকে আটক করতে পারেনি। সে আটক না হওয়া পর্যন্ত আমরা খুব ভয়ে আছি। আমাদের মতো নিরীহ পরিবারের উপর আবার কোন অঘটন ঘটায় কিনা তা নিয়েই রাতে ঘুমাতে পারিনা। আমার বোন এখনো ঘুমের ঘোরে চিৎকার দিয়ে উঠে। গত সপ্তাহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কর্তপক্ষ তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। অসুস্থতা এবং ভয়ে সে ঘর থেকে বের হচ্ছে না এবং কাজেও যায়নি। দুমুঠো খাবার জোগাড়ই এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় জনগনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শরীফ এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত । সে এলাকার উঠতি বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করতো। তারাও এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রায়পুরের বামনীর পূর্ব কাঞ্চনপুর গ্রামের ওই তরুনি বেঙ্গল সু কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে র্ধষিত হয়।এ সময় তার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন ক্ষতিগ্রস্থ তরুনি বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
0Share