রামগঞ্জ প্রতিনিধি: রামগঞ্জে সমেষপুর-শাহারপাড়া সংযোগ খালটি ভরাট করে ইটভাটার মাটি আনা নেওয়ার রাস্তা নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। এতে করে পাশ্ববর্তি মাঠের ২শতাধিক একর জমি চাষাবাদ হুমকীর মূখে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাদুর ইউপি’র সমেষপুর ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিনের সুমন ও দেহলা গ্রামের মাহবুবুর রহমান মুন্সিসহ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী ভাদুর ও ভোলাকোট ইউনিয়নের বরেন্দ্রখাল ও খ্রী জানের খালের সাথে সমেষপুর মাঠের মধ্যখান দিয়ে বয়ে যাওয়া শত বছর পূর্বের প্রবাহমান সংযোগ খালটি ভরাট করে পাশ্ববর্তি জেবিএম ও মদিনা ইটভাটায় মাঠে জমির টপসয়েল কেটে, আনা নেওয়ার জন্য সমেষপুর গ্রামের মেম্বারের নেতৃত্বে মদিনা ইটভাটর মালিক ডিপজলের সহযোগি মাহবুব রহমান মুন্সিসহ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী খালটি ভরাট করে ২ পাশে ২টি রাস্তা নির্মান করে। ফলে চলতি ইরি মৌসুমসহ এ মাঠের ২শত একর জমি চাষাবাদ হুমকীর মূখে পড়ে। উল্লেখ্য, উক্ত মাঠের ২ শতাধিক একর জমি চাষাবাদ এই খালটির পানি উপর নির্ভরশীল এবং কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবী ফলে দুই বছর পূর্বে সরকারের জলাবদ্ধতা দূরিকরন প্রকল্পের মাধ্যমে খালটি পূর্ন খনন করা হয়।
সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ভাদুর ইউপি আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আরিফ রহমান বলেন, এ খালটিকে কেন্দ্র করে কৃষক শত শত একর জমি ইরিগেশনসহ নানা শাকসবজি চাষাবাদ করে আসছে। কয়েক বছর পূর্বে মাঠের পূর্বপাশে দেহলা গ্রামে ৪টি ইটভাটা গড়ে উঠায়, মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবখাটিয়ে জমির টপ সয়েল কেটে ও খালটি ভরাট করায়, চাষাবাদ অনূপযোগি হয়ে পড়ে, ফলে শত শত কৃষক তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সালাউদ্দিন সুমন মেম্বার জানান, এটা সরকারী খাল নয়, ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে খালটি হয়েছে। মাটি নেওয়া শেষ হলে বাধটি উঠিয়ে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে ভাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএনও আমাকে বলার পর পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের কাজ বন্ধ করে বাঁধ অপসারনের জন্য বলে দিয়েছি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউছুফ জানান, খবর পেয়ে তহশিলদারকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা জন্য বলা হয়েছে এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁধ দেওয়ার সাথে জড়িতদেরকে দিয়ে বাঁধটি উঠিয়ে ফেলানোর জন্য। এর পরও যদি আইনঅমান্য কওে, তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0Share