নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুরে এসে এখানকার জনগণের ভোট ও দোয়া চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আগামী সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এই ভোট ও দোয়া চান। প্রায় ২০ বছর পর লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের কেউ লক্ষ্মীপুরের জন্য কিছু করেনি। বিএনপি লক্ষ্মীপুরের জন্য কিছুই করেনি। আমি আজ আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পগুলোর তালিকা পড়ে শোনান। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের জন্য যা যা করার সবই করবেন বলে আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নিজের সরকারের উন্নয়নের বর্ণনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিএনপি সরকারের আমলের দুর্নীতি, অনিয়ম ও সন্ত্রাসের বর্ণনা দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, লক্ষ্মীপুরে তার দলের ১৩ নেতাকর্মীকে বিএনপি-জামায়াত নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখানে বিএনপির নির্যাতন থেকে মুক্তিযোদ্ধারাও বাঁচতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৯২ দিন এদেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। তিনি এয়ার কন্ডিশন রুমে বসে আর তার কুলাঙ্গার ছেলে বিদেশে বসে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়।’ শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি মুখে ধর্মের কথা বললেও তারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে কি না তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। বিএনপি দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রতিষ্ঠা করেছে বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের সমালোচনা করে বলেন, ভুল বুঝিয়ে ছাত্রদের জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, এ পর্যন্ত কতজন জঙ্গি বেহেশেতে গেছে? তারা কি বেহেশতে গিয়ে খবর পাঠিয়েছে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বিএনপির ভারতবিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও এরশাদ অনেক দিন ক্ষমতায় ছিলেন। তারা তো ভারত থেকে এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেননি। আমরা ক্ষমতায় এসে গঙ্গা চুক্তি করেছি, সমুদ্রসীমায় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, স্থলসীমা চুক্তি করেছি।’
0Share