রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় শহরের ৬টি রেষ্টুরেন্টের ময়লার সংমিশ্রনের হাটু পানিতে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের প্রায় দু’শ পরিবার মানবেতর বসবাস করছে । গত ৫ দিনের ভারী বর্ষনে ফলে দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী পরিবারগুলোর এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । স্থানীয় কাউন্সিলর শহীদ উল্যাহ বলেন, বিশাল জনবহুল ওই বাড়ীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পরিবারগুলো প্রতি বছর অসহায়ভাবে বসবাস করছে । সমস্যা সমাধানে একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষককে বললেও আমাকে সহযোগিতা করছে না । আমি নিরুপায় । তবে পানি নিস্কাষন করে দ্রুত ব্যাবস্থা নিবেন বলে মেয়র আশ্বস্ত করেন । শনিবার দুপুরে সরজমিনে গেলে বৃদ্ধ রুহুল আমিন ও ফিরোজ আলমসহ কয়েকজন গৃহবধু জানান, রায়পুর একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। এ ৭নং ওয়ার্ডে ৩২’শ ভোটার ও প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস । শহরের পাশেই -মীরগন্জ ব্যাস্ততম সড়কের পাশেই সর্দার বাড়ীর জনবহুল প্রায় দু’শ পরিবারের বসবাস । বাড়ীর পাশেই রয়েছে ৬টি খাবার হোটেল ওদু’টি জলাশয় । সৃষ্টির পর থেকে নেই ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ও মশার উপদ্রুপ । প্রতিবছর বর্ষাকাল-ঝড়-বৃষ্টি ও হোটেলের ময়লার সংমিশ্রনের পানিতে পুরো বাড়ী ডুবে যায়ই বরং খাটের নিচে ইট দিয়ে তা উঁচু করে বসবাস করতে হয় । ওই পানি পার হয়ে বাজারে যাতায়াত ও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে হচ্ছে । সমস্যাগুলো গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মেয়রকে বললেও তারা ককোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না । পৌরসভার সকল ট্যাক্স যথাসময়ে পরিশোধ করছি ।গত সোমবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে আবার সেই পুরোনো চেহারায় ফিরে এসেছে । পুরো বাড়ীর প্রায় দু’শ পরিবার ময়লা পানিতে বন্ধি অসহায় জীবন-যাপন করছে । পানির সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরসহ মেয়রকে একাধিকবার বলা হলেও কোন ব্যাবস্থাই নিচ্ছে না । পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদ উল্যা ও সংরক্ষীত মহিলা কাউন্সিলর শামছুন্নার নাহার লিলি ওই পরিবারগুলোর মানবেতর জীবন-যাপনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অসহায় । কর্তৃপক্ষ বাজেট না দেওয়া পর্যন্ত কিছুই করতে পারবো না । পৌর মেয়র ইসমাইল খোকন বলেন, পৌরসভার সর্দার বাড়ীসহ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সমস্যা আমাকে কেউ জানায় নি । সমাধানের জন্য কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেয়া হবে ।
0Share