তাবারক হোসেন আজাদ: মিরাজ হোসেন। বয়স ৯ বছর। দরিদ্র পরিবারের পিতা-মাতার ছোট ছেলে। বাবা রিক্সাচালক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ্য থাকায় পরিবারের ভরন-পোষন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ার পাশাপাশি মিরাজের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এ করুন অবস্থা দেখে বাবার রিক্সা নিয়েই সংসারের আয় যোগাতে রাস্তায় বের হয়ে গেলেন। আর এই সংবাদ সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ছড়িয়ে পড়ে।এ ঘটনাটি রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহামুদের নজরে আসে নজরে আসে। এতেই সে মিরাজের বাড়ীতে ছুটে গিয়ে তার লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব রায়পুর ছাত্রলীগ নিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ওই পরিবারকে নগদ আর্থিক সহযোগীতা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরলক্ষী গ্রামে। স্কুলছাত্র শিশু মিরাজ একই গ্রামের কুদ্দস সর্দারের ছেলে ও পশ্চিম চরলক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ।
মিরাজের মা কহিনুর বেগম জানান, দরিদ্র সংসারে স্বামীর রিক্সা চালানোর আয় দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ সংসার চলছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লিভার নষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় রিক্সা না চালানোর কারনে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সংসার চলছিল না। তিন ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই ছোট ছেলে মিরাজকে বারণ সত্বেও তার বাবার পুরান রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যায়। এই অবস্থা দেখে ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল আর্থিক সহযোগীতা সহ ছেলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা খুশি।
রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহামুদ বলেন, মানুষের কল্যানের জন্যই ছাত্রলীগ নিয়োজিত। অসহায় স্কুল ছাত্র মিরাজের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি এবং আমার সংগঠন গর্বিত। এভাবেই আমি দলের কর্মীদের নিয়ে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে চাই।
0Share