নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গত পাঁচদিন থেকে পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতে খাওয়ার জন্য বাজার থেকে বোতলজাত পানি কিনে খেতে হচ্ছে। বাসা-বাড়িতে রান্না করতে না পেরে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। শুক্রবার (১৯ মে) ছুটির দিন হওয়ায় কেউ কেউ লক্ষ্মীপুর শহরে ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন। কমলনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা আক্তার সুমি ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার জন্য শহরের মদিন উল্লা হাউজিংয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত ৫ দিন থেকে পানি না পেয়ে শুক্রবার (১৯ মে) সকালে তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চর লরেন্স চলে গেছেন। সুমি বলেন, এক মাস ধরে পানি সংকটে ভুগছি। গত ৫দিন ধরে এক ফোটা পানিও পাইনি। সংরক্ষিত বৃষ্টির পানি দিয়ে কোনোমতে চলেছে। খাওয়ার পানি বাজার থেকে কিনে খেতে হয়েছে। ঘরে ধোয়া-মুছা বন্ধ, চুলায় রান্না বসানো যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতে বাধ্য হয়ে গ্রামে যেতে হচ্ছে। সমসেরাবাদ এলাকার গৃহিনী রোমানা বেগম বলেন, পানির অভাবে আমার ছোট্ট শিশুকে গোসল করাতে পারছিনা। লক্ষ্মীপুর পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক জানান, পানি না থাকায় অন্যত্র গিয়ে গোসল করছি । তবে বাসায় বৃদ্ধ ও নারীরা বেশ ভোগান্তিতে রয়েছেন। অনেকের ধারণা পৌর মেয়র আবু তাহের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকায় তার অনুপস্থিতে ঢিমে তালে চলছে পৌর সেবা। এ ব্যাপারে জানেতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সচিব আলা উদ্দিন সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সকাল ১০টার দিকে পৌর কর্তৃপক্ষের একটি প্রচার মাইক পানি সরবারহ যথাযথভাবে দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ সময় প্রচার মাইক দেখে পৌরবাসিন্দাদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল উদ্দিন বলেন, তিনদিন আগে বৈদ্যুতিক টান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা প্রকট হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং না থাকলে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। প্যানেল মেয়র আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর পৌরবাসীর সুপেয় পানি সংকট নিরসনে তিনটি ওয়ারটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু আছে। এর মধ্যে রামগতি বাস স্ট্যান্ডের অদূরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে পৌরভার তিন ভাগের একভাগ পরিবার পানি না পেয়ে
0Share