নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলিতে যুবলীগ নেতাসহ দুজন আহত হওয়ার প্রতিবাদে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে এ অবরোধের ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মোতালেব হোসেনকে (২৬) চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের পেট্রলপাম্পের কাছে কুপিয়ে জখম করে একদল সন্ত্রাসী। মোতালেব ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। তাঁকে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোতালেবের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে সন্ত্রাসী সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সোহাগসহ পাঁচ-ছয়জনের একটি দল চন্দ্রগঞ্জ ন্যাশনাল হাসপাতালের কাছের ব্রিজের গোড়ায় মোতালেবের বড় ভাই বেলাল হোসেনকে গুলি করে। বেলালের বুকে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে সকাল আটটার দিকে চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা এ সময় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখেন এবং টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় সড়কের দুই দিকে বাস, ট্রাকসহ অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা সরে যান। পরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, হামলা ও গুলির ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরো পড়ুন:
0Share