নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগঞ্জ উপজেলার ১শ ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১শ ৪০ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২-৩ বছর ধরে এসব পদ শূন্য থাকায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১শ৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১টিতে প্রধান শিক্ষক নেই এবং ৭১টি বিদ্যালয়ে ১০৯ জন সহকারী শিক্ষক নেই। তার মধ্যে আশার কোটা ও পশ্চিম শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪টি করে শূন্যপদ। উত্তর বিঘা, নয়নপুর ভাটরা, বদরপুর, হোটাটিয়াসহ ১২টি বিদ্যালয়ে ৩টি করে শূন্যপদ।
মধ্যভাদুর, সিরুন্দি, উত্তর হরিশ্চর, রাঘবপুরসহ ২৭টি বিদ্যালয়ে ২টি করে শূন্যপদ ও শেখপুরা, বিঘা, ভাদুর, পশ্চিম ভাদুরসহ ৪৩টি বিদ্যালয়ে ১টি করে শূন্যপদ রয়েছে। পশ্চিম শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক আবু তাহের জানান, স্কুলে শিক্ষক নেই, ক্লাস ঠিকমতো হয় না, তাই ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না, কয়েক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করালেও নানা সমস্যায় সবাই তো ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে দূরের স্কুলে ভর্তি করাতে পারছেন না। তাই সবাই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। দরবেশপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় একজন শিক্ষক এক নাগাড়ে একই শ্রেণীতে বারবার ক্লাস নেয়া কষ্টকর। এতে ছাত্রছাত্রীরা থাকে লেখাপড়ায় অমনোযোগী। জরুরি ভিত্তিতে ওই সমস্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ না দিলে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, শূন্যপদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে বারবার চিঠি দেয়াসহ চেষ্টা অব্যাহত আছে। স্থানীয় এমপি লায়ন এমএ আউয়াল জানান, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করছি খুব শিগগিরই শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হবে।
0Share