রায়পুর প্রতিনিধি: বখাটে ছেলেদের সাথে আড্ডা ও গভীর রাতে বাসায় ফেরা নিয়ে নিষেধ করায় মা রত্না বেগমকে (৪০) চার্জার লাইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্নক আহত করে মাথা ফাটালেন চাকুরিজীবি ছেলে মোঃ বাপ্পি (২৭) । স্থানীয় লোকজন আহত মা’কে উদ্ধার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের দেনায়েতপুর গ্রামে সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বেলাল মিয়ার বাসায়। এ ঘটনায় ছেলে মোঃ বাপ্পির বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে ওই আহত মা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।
আহত ওই নারি রত্না বেগম রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স বিলাল হোসের স্ত্রী হন ও বাপ্পির বাবা হন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে । রাত ১১ টায় নীজের ভুল স্বীকার করে মুচলেখা দিয়ে ও মা’র কাছে ক্ষমা চেয়ে অভিযুক্ত বাপ্পি মামার জিম্মায় থানা থেকে মুক্তি পেলেন। আহত ওই মা রত্না বেগম জানান,আমাদের জন্মস্থান বিক্রমপুরে । প্রায় ২০ বছর আগে সরকারি হাসপাতালে স্বামীর চাকুরির সুবাধে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের পাশেই জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি । স্বামী-সন্তান নিয়ে সাধারনভাবে জীবন চলছিল । মাধ্যমিক স্কুল থেকে বাপ্পিকে বাসার আসে-পাশের বখাটে ও উশৃংখল ছেলেদের সাথে আড্ডা না দিতে এবং গভীর রাতে বাসায় না ফেরার জন্য নিষেদ করে আসছিলাম। কিন্তু সে আমার ও স্বামীর কথার অবাধ্যই থেকে গেল। বাপ্পি চট্রগামের একটি শিপইয়ার্ডে চাকুরিরত ও ঈদের ছুটিতে বাসায় আসে। আবারও শনিবার ও রোববার রাতে বখাটেদের সাথে আড্ডায় লিপ্ত ও গভীর রাতে বাসায় ফেরা নিয়ে বারন করি । এতেই সে উত্তেজিত হয়ে তার বাবার অনুপুস্থিতে ঘরে থাকা চার্জার লাইট নিয়ে এলোপাতাড়ি মূখ ও শরিরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্নক আহত করে মাথা ফাটিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে চিৎকার দিয়ে মাটিয়ে লুটে পড়লে স্থানীয় লোকজন আহত মা রত্না বেগকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় আহত নারীর স্বামি নার্স (ব্রাদার) বিল্লাল হোসেন বলেন-বাপ্পিকে তার বখাটে বন্ধুদের কাছ থেকে দুরে থাকার জন্য অনেক বলেছি। কিন্তু আমার সে চেষ্টা বিফলে গেছে । এখন যদি পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে যদি ভালো হয় সে,আল্লাহর কাছে শুকুরিয়া । রায়পুর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সোলায়মান হোসেন ঘটনার স্বত্যতা স্বীকার করে বলেন মা’কে মারধর করে মাথা ফাটানোর ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছে । রাত ১১ টায় অভিযুক্ত বাপ্পিকে ধরে আনলে রাতেই পরিবাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে বৈঠকে হয়।পরে মা’কে মারধরসহ কোন কষ্ট দিবে না এই মর্মে মুচলেখা নিয়ে ক্ষমা চাইয়ে বাপ্পিকে তার মামার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
0Share