রামগঞ্জ প্রতিনিধি: পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে জিম্মি করে ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পুরান বাড়িতে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মঞ্জরুল ইসলাম নোয়াপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। সৃষ্ট ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অাওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলামসহ ৪জনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পুরান বাড়ীর দুবাই প্রবাসী আঃ হান্নানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমমের কাছে গত ৪ আগষ্ট দুবাই থেকে শাহআলম নামের কুমিল্লা এক ব্যাক্তির কাছ স্বামী হান্নান স্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল পাঠায়। এক পর্যায়ে একইদিন শাহালাম মালামাল দিয়ে চলে যেতে চাইলে বন্ধু হান্নানের অনুরোধে রাতে বাড়িতে থেকে সকালে যেতে বলে। এসময় আনোয়ারা বেগম সন্ধায় খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ির মনির হোসেন নামের এক চাচা শশুরের ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেয়। পরে খবর পেয়ে রাত ৯টায় পার্শ্ববর্তী পুরান বাড়ির আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম নেতৃত্বে রুবেল ও হোটাটিয়ার পারভেজ সহ ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ দলবল নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর বসত ঘর ঘেরাও করে। একপর্যায়ে ঘরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে কুমিল্লা থেকে আসা শাহালামকে বের করে দিতে বলে। প্রবাসীর স্ত্রী তখন ঘরে নেই বলে উনিতো আমার চাচা শশুরের ঘরে ঘুমিয়েছে বলে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা একযোগে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মনিরের ঘর থেকে শাহালামকে ঘুম থেকে উঠিয়ে টেনে হিচড়ে ঘরের বাহিরে এনে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার সাথে থাকা বিদেশী ১২ হাজার দেরাম,নগদ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানান ওই প্রবাসি।
এরপর তারা অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে নানা নির্যাতন চালিয়ে শাহালামকে রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পানিতে দাঁড় করিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। পরে তারা প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সাথে শাহালামের অনৈতিক কর্মকান্ড করেছে বলে আ’লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং রাতের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এক পর্যায়ে নিজের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আনোয়ারা ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকী টাকা দিনের বেলায় দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নিজকে রক্ষা করেন আনোয়ারা।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আনোয়ারা বেগমকে আমি বিপদ থেকে উদ্ধার করেছি। নতুবা সন্ত্রাসীরা ওকে মেরে ফেলতো। বিদেশী টাকা আমি নেইনি। শুনেছি ওই টাকা পারভেজ ও সুজনের কাছে থাকতে পারে।থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহম্মেদ জানান, থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দুই পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।
0Share