রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাসুদ আলম নামে এক বন্দর শ্রমিক পরিবারের কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুর রবের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানোয় মাসুদ পরিবারকে মামলা দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে। ১৬ বছর ধরে মামলার ঘানি টানলেও সম্পত্তির ধারে কাছেও যেতে পারছেনা সে। মামলা শুনানিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কবে নাগাদ বিচার পাবে তা নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেছেন মাসুদ আলম। রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের উত্তর কেরোয়া গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মৃত রহমত উল্যার পুত্র মো. মাসুদ আলম। একই বাড়ির বাসিন্দা আব্দুর রব।
মাসুদ আলম জানান, তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। পিতার অবর্তমানে সম্পত্তির খোঁজ-খবর নেওয়ায় তাকে হয়রানি করছেন একই বাড়ির প্রভাবশালী আব্দুর রব। তাদের কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৬ একর ভূমি জবরদখল করে নেয় সে। ওই জমিতে যাতে মাসুদ পরিবারের লোকজন যেতে না পারে সেজন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা ঠুকে দেয় সে (১১৮/০২)। মামলাটি ১৬ বছর ধরে শুনানি চললেও কবে নাগাদ না শেষ হবে কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেননা। মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় তারা হতাশ। এদিকে মামলার সুযোগে আব্দুর রব ওই জমির মালিকানা দাবি করে তা বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রি করাও শুরু করেছেন। আব্দুর রব মামলাটির শুনানি ঢিমেতালে করতে নানান অপকৌশলও প্রয়োগ করছেন বলে মাসুদের অভিযোগ।
আব্দুর রব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিরোধীয় ভূমির ওয়ারিশী মালিকানা নির্ধারণের জন্য আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের রায় যা হয় তা আমি মেনে নেবো।
কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান কামাল বলেন, মাসুদ আলম বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু উভয়পক্ষের ভূমি নিয়ে বিরোধটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ নিয়ে আমাদের কিছুই করার বা বলার নেই।
0Share