রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সুমি বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধুকে রড, লাঠি দ্বারা পিটিয়ে আহত করে মুখের ভিতর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই জ্বা সুফিয়া বেগম ও তার ছেলে রাহাত হোসেনের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের হাত ধরে স্কুল ছাত্রীর পলায়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের পূর্ব চরপাতা গ্রামের মফিজ উদ্দিন মিঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধু রায়পুর সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পূর্বের পাওনা ১৫ হাজার টাকা না দেওয়ায় ও তর্ক করায় সুমিকে সামান্য মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম।
এ ঘটনায় আহত সুমি বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রাহাত হোসেন, জমিস পাটওয়ারী ও সুফিয়া বেগমকে আসামী করে ভাংচুর, লুটপাট ও হত্যার চেষ্টা অভিযোগ এনে রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে সুফিয়া বেগমের মেয়ে স্কুল ছাত্রী রাপ্তি আক্তার একই এলাকার এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। এঘটনায় একই এলাকার প্রবাসী সোহাগ হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে মারধর করে সুফিয়া বেগমের পরিবার। একই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় পূণরায় সুফিয়ার পরিবার তাদের মেয়ের সন্ধান জানাতে সুমির বাড়িতে গিয়ে সুমিকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত, শ্লীলতাহানী, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আলমারিতে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে অচেতন গৃহবধু সুমিকে মুখের ভিতরে বৈদ্যুতিক তার ঢুকিয়ে শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় সুফিয়া বেগম ও তার ছেলে রাহাত হোসেন। এসময় সুমির চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সুফিয়া ও তার ছেলে রাহাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, আহত সুমি বেগম তার জ্বা সুফিয়া বেগম সহ তিন জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
0Share