আলী হোসেন: অর্থের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম একটি বিদ্যালয়ের সকল দায়িত্ব নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লক্ষ্মীপুর বন্ধু ফোরাম’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম দক্ষিণ মান্দারী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৪ সালে জাপানী একটি সংস্থা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার পর শিক্ষকদের বেতনসহ এর যাবতীয় ব্যয় বহন করতো। পরে ওই সংস্থাটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে বিদ্যালয়টিতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় স্কুলের দেড় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভবিষ্যত।
সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে একটি বিদ্যালয়’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হলে এর যাবতীয় দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী ‘বন্ধু ফোরাম’ সংগঠনটি।
বুধবার দুপুরে বন্ধু ফোরামের সভাপতি সদর উপজেলার শাকচর ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী তার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত না হওয়া পর্যন্ত সকল দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিলু রানী পাল, বন্ধু ফোরামের সহ-সভাপতি আবদুল মহিদ, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মমিন উল্যাহ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খাঁন সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, ইমরান হোসেন বাবলু, হাসান মাহমুদ বিজয়, জেসমিন আক্তার, নাহিদা আফরোজ, সোহেল পাটোয়ারী প্রমুখ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫০ জন শিশু শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এ সময় বন্ধু ফোরামের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান টিটু চৌধুরী বলেন, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে বিদ্যালয়টির ব্যয় বহন করার জন্য এগিয়ে এসেছি। অর্থের অভাবে একটি গ্রামের কোমলমতি ৫০টি শিশু তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বি ত থাকতে পারেনা। তিনি বলেন, আমরা চাই সমাজের বিত্তবানরা আমাদের মত এগিয়ে আসুক।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উত্তম পাল বলেন, অল্প কিছু লোকের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন সরকারি কোনো বরাদ্দ ছাড়াই কোনমতে বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বন্ধু ফোরামের সদস্যরা সামাজিক দায়বোধ থেকে এগিয়ে আসায় আমরা আশার আলো খুঁজে পেয়েছি। তিনি দ্রুত বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, পর্যায়ক্রমে এসব বিদ্যালয়গুলো সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
0Share